কলকাতা: খোলা ম্যানহোলে পড়ে মৃত্যু হল পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তির। শুক্রবার রাতে দমদম সেভেন ট্যাঙ্কের কাছের ঘটনা। ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে মৃতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ। যদিও তা মানতে নারাজ পুরসভা৷
মৃতের নাম রঞ্জন সাহা৷ পেশায় অটো চালক৷ তিনি দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১১ নম্বর পুরসভার বেদিয়া পাড়ার বাসিন্দা৷ শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় খোলা ম্যানহোলে পড়ে যান৷ তাঁর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন৷
অটো চালক রঞ্জন সাহার মৃত্যুতে ফের একবার শহর কলকাতার খোলা ম্যানহোল নিয়ে পুরসভা বা স্থানীয় কোর্ডিনেটরের ভূমিকা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ তাই, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ রঞ্জনের পরিবারের লোকের অভিযোগ, ম্যানহোল খোলা থাকার জন্যই এ রকম দুর্ঘটনা। প্রাণহানি হল। রঞ্জনের মৃত্যুর জন্য পুরসভার গাফিলতিকে দায়ী করেছে তাঁরা৷
আরও পড়ুন-কোথায় সুবীরের ফোন? উত্তর হাতড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা
যদিও মানতে নারাজ কলকাতা পুরসভা৷ কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ম্যানহোল দেখার দায়িত্ব পুরসভার নয়৷ পূর্ত দফতরের৷ তাছাড়া, এখন বর্ষা নয়৷ তারপরও ম্যানহোল খোলা রাখেন স্থানীয়রা৷ বারবার সাবধান করা সত্ত্বেও কেউ কোনও কথা শোনে না৷ শৌচকার্যের জন্যই ম্যানহোল খুলে রাখেন স্থানীয়রা৷ তবে, শুধুমাত্র ম্যানহোলে পড়েই মৃত্যু কি না তা পুলিস তদন্ত করে দেখবে৷’
ম্যানহোল খোলা রাখা নিয়ে মৃতের পরিবার ও কলকাতা পুরসভা দ্বিমত হলেও মৃত্যর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে৷ ম্যানহোলের গভীরতা কতটা ছিল? ম্যানহোলে জল ছিল কি না? মৃত মদ্যপ ছিল কি না ইত্যাদি প্রশ্নও থাকছে৷ তাই, যতক্ষণ না ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসছে ততক্ষণে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না! সেই উত্তর খুঁজতেই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷