মালবাজার : ডুয়ার্সের বিশ্বকর্মা পূজো অন্য সব জায়গার বিশ্বকর্মা পূজোর থেকে আলাদা। কারণ এখানে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন পুজো করা হয় কুনকি হাতিদের। রীতিমেনে প্রতিবছর ধূপঝোড়ার এলিফেন্ট ক্যাম্পের বন কর্মীদের পক্ষ থেকে এই বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। এই বছরও তার অন্যথা হয়নি।
পূজো উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকেই ধুপঝোড়া বিট অফিস সংলগ্ন পিলখানায় ছিল সাজো সাজো রব। সকাল থেকে ধূপঝোড়া, গরুমারা ও মেদলার কুনকি হাতিদের নিয়ে মাহুতদের ব্যস্ততা ছিল চরমে। কুনকি হাতিগুলিকে প্রথমে মূর্তি নদীতে ভাল করে স্নান করানো হয়। এরপর তাদের নানা রঙের চক দিয়ে সাজানো হয়। এরপর প্রতিটি হাতির গায়ে তাদের নাম লিখে দেওয়া হয়।
এরপর তাদের নিয়ে আসা হয় পুজো মন্ডপে। রীতিমতো শাঁখ বাজিয়ে, উলুধ্বনিও দেওয়া হয় পুজো চলাকালিন। পুরোহিত নিয়মনীতি মেনে মন্ত্র উচ্চারন করে পুজোর কাজ সারেন। অন্য বছর এই হাতি পুজো দেখতে প্রচুর পর্যটকরা ভিড় জমান। তবে, করণা আবহে এবছর হাতি পুজো দেখার ভিড় অনেকটাই কম। তবে, পর্যটক ছাড়াও আশেপাশে গ্রামের মানুষও প্রতিবছর এই বিশেষ দিনটিতে হাতি পুজো দেখতে চলে আসেন পিলখানায়।
আরও পড়ুন- বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে হাতিদের রাখী বন্ধন উৎসব
ধুপঝোড়া এলিফ্যান্ট ক্যাম্পের পিলখানায় বর্ষন,বসন্ত হিলারি,ভোলানাথ,ডায়না, ফাল্গুনীর মতো কুনকি হাতিদের মহাকাল বলে বিশ্বকর্মার বাহন হিসেবে পুজা করা হয়। শুধুমাত্র বনকর্মীরাই নন হাতিকে ডুয়ার্সের জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার মানুষ মহাকাল বলে পূজা করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে। এই কুনকি হাতিদের সাথে সবচেয়ে বেশি যে সময় কাটান তারা হলেন বন বিভাগের মাহুতরা । কাজেই এই পুজোতে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয় এই মাহুতদের।
আরও পড়ুন – ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে আলিপুর চিড়িয়াখানা ও বেঙ্গল সাফারি পার্ক
পুজো বলে কথা, তাও আবার হাতি পুজো। কাজেই পুজোর পাশাপাশি তাদের খাবারের মেনুতেও ছিল অভিনবত্ব। রোজকার খাওয়ারের পাশাপাশি মেন্যুতে রয়েছে চাল,ডাল,কলা ও বিভিন্ন ধরনের ফলের বাহার। এদিন রীতিমতো উৎসবের আমেজ নিয়েছে গরুমারা, ধূপঝোড়া, মেদলার হাতি পিলখানাগুলোয়।