ঢাকা: জাতীয় সংসদের নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক পরিবেশ। আগামী ৭ জানুয়ারি ওপার বাংলার জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনে নির্বাচন। কিন্তু সে দেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (BNP) ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে। দেশের মানুষকে তারা নির্বাচনে শামিল না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি-র দাবি, শাসকদল আওয়ামি লিগ (Awami League) ‘নকল বিরোধী দল’ এবং ‘নকল প্রার্থী’ খাড়া করে নির্বাচন করতে চাইছে। বিএনপি-র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভি বলেছেন, এই নির্বাচন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে না।
আরও পড়ুন: বাইডেনের ‘স্বাদ’ ম্যাক্রোঁর ‘ঘোলে’ মেটাতে চায় ভারত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দলের আরও অস্বস্তির কারণ, বিরোধী জোটের অংশ এলডিপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, পিপলস পার্টি, গণফোরামের একাংশও ভোট বয়কটের পক্ষে। তারা একজোট হয়ে নির্বাচন বানচাল করতে প্রচারে নেমেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় ভোট বয়কটের লিফলেট বিলি করে এই প্রচারকার্যের সূচনা হয়। আজ, শুক্রবার প্রচার ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন জেলাতেও। স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের সঙ্গে বিরোধীদের মুখোমুখি সংঘাতের সম্ভাবনা বাড়ছে।
তবে এই আবহে দলের নেতা-কর্মী এবং প্রার্থীদের কোনওরকম প্ররোচনায় পা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামি লিগের সভানেত্রী হাসিনা। তিনি বলেন, “আওয়ামি লিগের কেউ সংঘাতে জড়ালেও রেহাই পাবেন না।” একই সঙ্গে বিরোধীদের কড়া বার্তা দিয়ে হাসিনার বার্তা, “জনগণ যাঁদের ভোট দেবেন, তাঁরা নির্বাচিত হবেন। অশান্তি করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) দল, বিএনপি জানিয়ে দিয়েছে, হাসিনার সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হলে তারা থাকবে না।