বালুরঘাট: বালুরঘাটের সাংসদের হস্তক্ষেপে ঘরের ছেলে ফিরল ঘরে। মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে পথ ভুলে হাজির হয়েছিল বাংলাদেশে। তাঁকে অসহায় বৃদ্ধ পিতামাতার কাছে ফিরিয়ে দিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। দুবছর পর ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে চোখে জল বাবা মার। এই দৃশ্যের সাক্ষী থাকলো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত।
বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলির ধারন্দা গ্রামের বাসিন্দা বিনোদ দেবনাথ। বিনোদবাবু, তাঁর স্ত্রী ছবি দেবনাথ ও তাঁদের একমাত্র ছেলে মানিক দেবনাথকে নিয়ে থাকেন। পেশায় খড়ি বিক্রির কাজ করেন বিনোদবাবু। জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৮ই মার্চ বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে বেড়িয়ে আর ফেরেনি তাঁদের একমাত্র সন্তান মানিক দেবনাথ। বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার আগে বেশ কিছুদিন মানসিক অবসাদে ভুগছিল সে।
অনেক খোজাখুজির পর তাঁরা জানতে পারে মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় পথ ভুলে বাংলাদেশে চলে যায় সে। ঘটনার পর ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগ জানান ওই দম্পতি। জানতে পারেন বাংলাদেশের জেলে তাঁদের ছেলে বন্দি রয়েছে। পাসপোর্ট করে ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানায় গেলেও বৃদ্ধ দম্পতি জানতে পারেন অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে মানিকের ১ বছর জেল হয়েছে। বাধ্য হয়ে ফিরে আসতে হয় অসহায় দম্পতিকে।
এরপরেই সারা বিশ্বে করোনার লকডাউন শুরু হয়। দেখতে দেখতে একবছর পেরিয়ে আরও একবছর হয়ে গেলেও তাও ছেলেকে ফিরে পাননি ওই দম্পতি। জেলা প্রশাসন থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশন সর্বত্র দরবার করেও কোন লাভ হয়নি। এরপরেই তাঁরা একমাত্র ছেলেকে ফিরে পেতে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দ্বারস্থ হন। বিষয়টি জেনেই সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দ্রুত দিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকে দরবার করে বিষয়টি তাঁদের নজরে আনে। অবশেষে সাংসদের তৎপরতায় ফিরে পান ছেলেকে।