কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বিজেপির বনধে সাড়া দিল না উত্তরবঙ্গও। শিলিগুড়িসহ সব জেলাতেই জনজীবন স্বাভাবিক ছিল। এককথায় বলা যায়, বিজেপির কর্মনাশা বনধের ডাককে প্রত্যাখ্যান করেছেন সাধারণ মানুষ।
শিলিগুড়ি
শিলিগুড়িতে সকাল থেকেই বনধের কোনও প্রভাব নেই বললেই চলে। যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। দূরপাল্লার ট্রেনগুলো নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে পৌঁছাতেই যাত্রীরা যে যার গন্তব্যস্থলে চলে যান। বাস চলাচল ছিল স্বাভাবিক। শিলিগুড়ি থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য বাসগুলো সঠিক সময় ছেড়েছে। যদিও বনধ সমর্থকরা শিলিগুড়িতে একটি মিছিল করে। পুলিস জোর করে দোকান বন্ধ করার জন্য শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ এবং মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দ বর্মন সহ প্রায় ৩০ জন সমর্থককে আটক করে।
কোচবিহার
বনধে মিশ্র প্রভাব পড়ল কোচবিহারে। এদিন সকালে বনধের বিরোধিতায় এবং সাধারণ জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস শহর জুড়ে মিছিল সংগঠিত করে। সেই মিছিল বাস টার্মিনাসে এসে শেষ হয়। পাল্টা বনধের সমর্থনে শহরে মিছিল করে বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায়, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে সহ অনেকে। বিজেপির জেলা কার্যালয় থেকে মিছিল করে হাসপাতালের সামনে দিয়ে ভবানীগঞ্জ বাজার হয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে। এদিন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস আটকে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সমর্থকরা। বিভিন্ন অফিস বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। যদিও পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিন শহরে পুলিসি নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো।
মালদহ
বনধের মিশ্র প্রভাব পড়েছে মালদহ জেলা জুড়েও। বেসরকারি বাস-মিনিবাস চলছে না। বৈষ্ণবনগর থানার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে সকাল বেলা বিজেপি অবরোধ করে। পুলিস গিয়ে সেই অবরোধ তুলে দেয়। শহরের প্রাণকেন্দ্র রথবাড়ি মোড়ে প্রচুর পুলিস সকাল থেকে মোতায়েন করা হয়। সবজি বাজার বসেছে নেতাজি পুর বাজারে। তবে বড়ো দোকানগুলি বন্ধ আছে। কিছু কিছু স্কুল খোলা রয়েছে। চলছে সরকারি বাস, রিকশ, টোটো। মোটের উপর স্বাভাবিক রয়েছে জনজীবন।
জলপাইগুড়ি
জলপাইগুড়িতেও বনধের কিছুটা সাড়া পড়েছে। এদিন সকালে জলপাইগুড়ি শান্তিপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে শুধুমাত্র সরকারি বাস চলাচল করতে দেখা যায়। পাশাপাশি বেসরকারি বাস সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকে। অন্যদিকে, শহরের দোকানপাট কিছু খোলা থাকলেও বড়বাজার দিনবাজার, স্টেশন বাজার, বউবাজার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ছিল।
উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর
বালুরঘাটে মিশ্র প্রভাব পড়লেও যান চলাচল বন্ধ করতে যাওয়া বিজেপি সমর্থকদের অবরোধ হঠাতে পুলিসকে বলপ্রয়োগ করতে হয়। এই নিয়ে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণভাবে চলা আন্দোলনের উপর পুলিস আক্রমণ চালিয়েছে। যদিও পুলিস বিজেপির এই রাস্তা অবরোধ হঠিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে জোরজবরদস্তির কথা অস্বীকার করেছে। পুলিস যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে মাত্র।