সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হলো। বারো বছর আগে মাইকেল জ্যাকসন ২৫ জুন ২০০৯ সালে এই পৃথিবীকে চির বিদায় জানিয়ে ছিলেন। বিনোদন জগত থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত স্তরের মানুষের মনে মাইকেল জায়গা করে নিয়েছিলেন। তার প্রতিভা ছিল আকাশ ছোঁয়া। মানুষ যখন করোনা অতিমারির নামও শোনেনি, তখন মাইকেলের গলায় শোনা গিয়েছিল গান ‘হিল দা ওয়ার্ল্ড’। তিনি এই পৃথিবীর অগণিত অনুরাগীদের কাছে আজও অমর। মাইকেলের নৃত্যশৈলী আজ সমগ্র বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। ভারতবর্ষ তার বাইরে নয়। আশির দশকের শেষভাগে বিভিন্ন অভিনেতা অনুপ্রাণিত হয়েছেন মাইকেলের নৃত্যশৈলী দ্বারা। তার নাক থেকে শুরু করে পোশাকের স্টাইল নকল করেছে অগণিত তরুণ। নব্বইয়ের দশকে ওয়েস্টার্ন মিউজিক প্রেমীদের মনের মনিকোঠায় স্বমহিমায় বিরাজ করেছেন মাইকেল।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতার বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী তথা চিত্রকর সৌমিতা সাহা আয়োজন করেছিলেন তার ওপর এক ভার্চুয়াল চিত্রপ্রদর্শনীর। বিভিন্ন আর্ট ফর্মে তিনি মাইকেল জ্যাকসনকে চিত্র মাধ্যমে ধরেছিলেন। মাইকেলেরই এক ছবির অনুকরনে এই প্রদর্শনীর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘এনভিসেজিং মাইকেল’। প্রসঙ্গত, এই ছবিতে দেখা যায় ভারতনাট্যম এর ভঙ্গিতে। অপূর্ব নৃত্যশৈলীর পাশাপাশি তার গাওয়া গানও দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখতো। এমন এক আন্তর্জাতিক মানের শিল্পীকে চিত্রকর সৌমিতা তার কল্পনা মিশিয়ে ভারতীয় নৃত্য শৈলীর মাধ্যমে মূর্ত করার চেষ্টা করেছেন ক্যানভাসে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের জন্যই এমন একটি প্রদর্শনী শিল্পীকে ভার্চুয়াল করতে হয়েছে বলে তিনি যথেষ্ট ব্যথিত।