Placeholder canvas
কলকাতা শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
Fourth Pillar | মোদি–যোগী সরকারের জমানায় প্রেম করা মানা
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By: 
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩, ১১:২২:৪০ পিএম
  • / ১৫১ বার খবরটি পড়া হয়েছে

জিহাদ শব্দের মানে প্রতিবাদ, বাংলায় এ শব্দ জেহাদ, জেহাদ ঘোষণা ইত্যাদি আমরা শুনেছি, কোরানে এই জিহাদের কথা লেখা আছে, লেখা আছে নিজের সঙ্গে নিজের জিহাদ, নিজের অন্যায়, অবিবেচনার বিরুদ্ধে জিহাদ ইত্যাদির কথা। কিন্তু দু’ তরফ থেকেই এই শব্দের অপব্যাখ্যা করা হয়, যে ব্যাখ্যা এই সাধারণ শব্দকে আপাতত এক আতঙ্ক করে তুলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ইসলামিক মৌলবাদীরা, লাদেন থেকে মোল্লা ওমরের দল জিহাদকে অমুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই হিসেবে ঘোষণা করেছে, ইসলাম যা আদতে শান্তির কথা বলে এই মৌলবাদীরা তাকে এক রক্তপিপাসু ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ঠিক তার উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের দেশের হিন্দু মৌলবাদীরা, যাঁরা দেশের ৭২-৭৪ শতাংশ মানুষকে বোঝাচ্ছে, হিন্দু খতরে মে হ্যায়। গোটা মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসে, বাংলায় নবাবি শাসনের ইতিহাসে একবারও শোনা যায়নি হিন্দু খতরে মে হ্যায়, আজ দেশের মাথায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস, বিজেপি। তাদের আমলেই আমরা শুনতে পাচ্ছি হিন্দু খতরে মে হ্যায়। এর মানে কি মুঘল বা মুসলমান শাসনে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হয়নি? হয়েছে, তাদের আমলেও মৌলবাদ ছিল, তারা কোথাও হিন্দু মন্দির ভেঙেছে, কোথাও তীর্থ কর লাগু করেছে, অত্যাচারী ধর্মান্ধ রাজা, নবাব, সুলতান বা সম্রাট তো কম ছিল না, সেটাই তো রাজতন্ত্রের কালো দিক। হিন্দু রাজাদের আমলে কীভাবে বৌদ্ধ মঠ জ্বালানো হয়েছে, ভাঙা হয়েছে, তাও কি আমরা জানি না? ইতিহাস বলছে, ১৮৫ থেকে ১৪৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে একা রাজা পূষ্যমিত্র ৮৪ হাজার বৌদ্ধস্তূপ ভেঙেছিলেন, যেগুলো তৈরি করেছিলেন সম্রাট অশোক। মগধ থেকে কাশ্মীর বৌদ্ধ বিহার ভাঙা হয়েছে, বৌদ্ধদের কচুকাটা করা হয়েছে। ব্রাহ্মণ রাজা ক্ষমতায় এসে অব্রাহ্মণদের খুন করেছেন, তাদের উপাসনালয় ভেঙেছেন, আবার পুরাণে ব্রাহ্মণ পরশুরামের পৃথিবীকে ক্ষত্রিয় শূন্য করার গল্পও আছে। ইসলামিক শাসনে কেবল হিন্দু মন্দির ভাঙা হয়েছিল নাকি? বকতিয়ার খিলজি ধ্বংস করেছিলেন নালান্দা ইউনিভার্সিটি, হাজার হাজার পুঁথি জ্বালিয়েছিলেন। এসবই মৌলবাদীদের ওই জিহাদ বা জেহাদ। এই জায়গায় প্রত্যেক ধর্মের, এমনকী শান্তি অহিংসার ধর্ম বৌদ্ধদের মধ্যেও মৌলবাদ ছিল, সেসব মৌলবাদী হিন্দু পুরোহিত, মুসলমান মোল্লা বা বৌদ্ধ ভিক্ষু রাজা, নবাব, সুলতানদের সাহায্য নিয়েই অন্য ধর্মের মানুষদের উপর অত্যাচার করেছে, ইতিহাসে তার ভূরি ভূরি নিদর্শন আছে। 

রাজতন্ত্র উবেই গিয়েছে পৃথিবী থেকে, যা আছে সেটাও আনুষ্ঠানিক, নেপাল টিমটিম করে পিদিম জ্বালিয়ে রেখেছিল, কিন্তু নেপালের মাওবাদীরা সেটাও ভেঙেছেন। সবমিলিয়ে সারা পৃথিবীতে সংসদীয় গণতন্ত্রকেই মেনে নিয়েছে মানুষজন। মানে রাজা নেই, কিন্তু শাসক তো আছে, ধর্মের ওই মৌলবাদীরা এখন গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মধ্যে ফাটল ধরিয়ে তাদের বিষ ছড়ানোর কাজ করেই যাচ্ছেন। আর যদি শাসকরা নিয়েই মৌলবাদী হয়? তাহলে সোনায় সোহাগা। আফগানিস্তান, পাকিস্তান হল তেমন দেশ, যেখানে শাসকেরাই ইসলামিক মৌলবাদী, অন্যধারে আমাদের দেশে শাসকদল হিন্দু মৌলবাদী। পাকিস্তানের মৌলবাদীরা বলেন ইসলাম খতরে মে হ্যায়, আফগানিস্তানেও তাই, সেই কারণেই তাদের ধর্ম বাঁচানোর জন্য তাঁরা অন্য ধর্মের মানুষদের উপর অত্যাচার চালান বা নিজেদের ধর্মের তৈরি করা কঠোর অনুশাসন মেনে চলতে মানুষকে বাধ্য করেন। আমাদের দেশেও ঠিক এইরকম, দেশের ৭২-৭৪ শতাংশ মানুষ হিন্দু, কোথাও কিচ্ছু নেই, কিন্তু এখানকার হিন্দু মৌলবাদীদের চিল চিৎকার রোজ শোনা যায়, হিন্দু নাকি খতরে মে হ্যায়। আর সেই খতরা থেকে বাঁচানোর জন্য ইসলামিক বা হিন্দু মৌলবাদীদের অস্ত্র শিক্ষা, নিজের ধর্মের লোকজনকে কঠোর অনুশাসনের মধ্যে রাখা, অন্য ধর্মের লোকেদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করা, নিজেদের ধর্মকে রাষ্ট্রের ধর্ম বলে ঘোষণা করা, খাদ্য, পরিধান, পুজোর রীতিনীতি নিয়ে ফতোয়া জারি করা ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেদের হেজিমনি, নিজেদের দাদাগিরিকে প্রতিষ্ঠিত করার লাগাতার চেষ্টা চালাতে থাকেন, এবং তার নাম দেন জিহাদ, ধর্মযুদ্ধ ইত্যাদি। এমনও নয় যে হিন্দুগরিষ্ঠ আমাদের দেশে মুসলমান মৌলবাদীরা নেই, তারাও আছে, হিন্দু মৌলবাদীরা যত সক্রিয় হবে, যত উগ্র হবে, মুসলমান মোল্লারাও ততটাই উগ্র হবে, সক্রিয় হবে। রাষ্ট্র সঙ্গে আছে বলে আজ হিন্দু মৌলবাদের পাল্লা ভারী। আর সেই দিক থেকে দেখতে গেলে সংখ্যাগুরুর মৌলবাদ এক অন্য মাত্রা পায়। ঘরের কর্তা, পরিবারের মাথাই যদি অত্যাচারী হয়, তাহলে যা হয় সেটাই ঘটে সংখ্যাগুরুর মৌলবাদে। আরএসএস–বিজেপি এই মোদি-যোগী জমানায় সেই সংখ্যাগুরু মৌলবাদের উত্থান ঘটিয়েছে, যদিও সংখ্যাগুরু হিন্দুদের ৫০ শতাংশ এখনও তাদের সঙ্গে নেই। আসলে হিন্দু মৌলবাদ বা ইসলামিক মৌলবাদের এক ছিটেফোঁটাও পার্থক্য নেই, কিন্তু সংখ্যাগুরুর মৌলবাদ, পাকিস্তানে আফগানিস্তানে ইসলামিক মৌলবাদ বা ভারতে হিন্দু মৌলবাদ সেই জন্যই আরও খারাপ। 

আমাদের দেশের মানুষ এই ক’ বছর হল প্রায়শই শুনতে পাচ্ছে লাভ জিহাদ, প্রশিক্ষণ জিহাদ এমনকী টোম্যাটো জিহাদের কথা। সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা, তিনি সেদিন বললেন, ট্যোমাটর দাম বাড়ছে মিয়াভাইদের জন্য, একে বলে টোম্যাটো জিহাদ, আমরা বুঝিনি, তাতে কী? ঘৃণা তো ছড়ানো হল, বিজেপির নেতারা বলছেন, ডকুমেন্ট দিয়েই বলছেন, দেখেছেন, মুসলমান ছেলেপুলেদের আইএএস, আইপিএস তৈরি করার জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য কাউন্সিলিং হচ্ছে, যা হয়ে উঠলে তারা ভেতর থেকেই রাষ্ট্রকে ভেঙে ফেলতে পারবে। এটা নাকি প্রশিক্ষণ জিহাদ। সেই ভিডিওটা আমরা দেখলাম, সেখানে এক শিক্ষিত পণ্ডিত মুসলমান তাঁর সামনে বসা ছাত্রদের বলছেন, তোমাদের কেবল কোরান পড়াটাই কাজ হতে পারে না, তোমাদের পড়াশুনো করতে হবে, আইএএস, আইপিএস হতে হবে, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার হতে হবে, ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে মুক্ত করতে হবে মুসলমান সমাজকে, তবেই তো এই জিহাদি প্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যাবে। বুঝুন এটা নাকি প্রশিক্ষণ জিহাদ, নৌকরি জিহাদ। ঠিক সেইরকম চালু হয়েছে নতুন লব্জ, লাভ জিহাদ। একটা গোটা সিনেমাই হয়ে গেল, মুসলমান ছেলেরা নানা কৌশলে হিন্দু সুন্দরী রমণীদের ভুল বুঝিয়ে বিয়ে করে তাদের কনভার্ট করছে, ধর্মটাই বদলে দিচ্ছে। এ নাকি তাদের সংখ্যা বাড়ানোর এক প্রক্রিয়া, এর ফলে তারা ক্রমশ সংখ্যালঘু থেকে সংখ্যাগুরু হয়ে উঠবে। উত্তরপ্রদেশে মুসলমান জনসংখ্যা ১৩-১৪ শতাংশ, বাকি হিন্দু। ওখানে ফার্টিলিটি রেট ৩.১। আর বাংলায় মুসলমান জনসংখ্যা ৩৩ শতাংশের বেশি, ফার্টিলিটি রেট ১.৬। ভারতবর্ষে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ ইত্যাদি বহু রাজ্যের থেকে কম, এমনকী কেরলের থেকেও কম। দেশের সবচেয়ে বেশি ফার্টিলিটি রেট কোথায়? পুরো হিসেবটা পাচ্ছি ২০১৬ সালের, উত্তরপ্রদেশ ৩.১, বিহার ৩.৩, মধ্যপ্রদেশ ২.৮, ঝাড়খণ্ড ২.৬, গুজরাত ২.২, অসম ২.৩ আর বাংলা ১.৬। অর্থাৎ হিন্দি গোবলয় আমাদের দেশের জনসংখ্যা বিস্ফোরণের জন্য দায়ী। এবং সেই সব রাজ্য, যেখানে মুসলমান জনসংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি, সেই রাজ্যগুলোতে ফার্টিলিটি রেট কম, যেমন পশ্চিম বঙ্গ, এমনকী অধুনা বিজেপি শাসিত অসমেও অপেক্ষাকৃত কম। 

আমাদের দেশে, জনসংখ্যা নিয়ে এই চিল চিৎকার, আগেও হয়েছে। জরুরি অবস্থার সময় নসবন্দি অভিযান চলেছিল, ফলাফল কী? ল্যান্সেটের তথ্য বলছে, ১৯৭৫-৮০-তে ফার্টিলিটি রেট ছিল ৪.৯৭, আর ১৯৮০-৮৫ তে সেই হার কমে দাঁড়ায় ৪.৬৮, অর্থৎ সেরকম কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। অথচ ১৯৯৫-২০০০ ফার্টিলিটি রেট ছিল ৩.৪৮, ২০১০-২০১৫-তে তা কমে দাঁড়াল ২.৪, কেন? এই সময়ের মধ্যে তো কোনও জনসংখ্যার আইন আনা হয়নি, তাহলে? আসলে খেয়াল করুন, এই সময়ের মধ্যে দেশের অর্থনীতি অনেকটা ভালো হয়েছিল, জিডিপি বেড়েছিল, গড় আয় বেড়েছিল, মানুষের হাতে কিছু টাকা এসেছিল, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর জন্য মিড ডে মিল দেওয়ার ফলে বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছিল, ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছিল গরিব মানুষেরা। অর্থনীতির উন্নয়ন জনসংখ্যা হ্রাসের প্রথম শর্ত, মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি হলেই তারা সন্তানকে আরও বেশি সুযোগ দিতে চায়, স্কুলে পাঠাতে চায়, ভালো করে মানুষ করতে চায়। তারা নিজেরাই চায় কম সন্তান হোক, উন্নত দেশের জনসংখ্যা কম, বা কমেছে এই কারণেই। এতটাই কমেছে যে তাদের সরকার এখন বলছে, ৩টে সন্তান হলে কিছু বেশি সুযোগ সুবিধে দেওয়া হবে, চীনেও একই অবস্থা। তাদের জন বিস্ফোরণ থামাতে তাদের সরকার বলেছিল একটার বেশি সন্তান নয়, এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও চীনের মানুষজন সন্তানের সংখ্যা কমিয়েছিল। কিছুদিন আগে চীনের সরকার বলেছিল ২টো সন্তান হতেই পারে, এখন বলছে ৩টে সন্তান হোক, কিন্তু মানুষ রাজি নয়। 

আসলে ফার্টিলিটি রেট কমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণে, সারা দেশে আয় কমবে, বেকারত্ব বাড়বে, জীবনযাপনের মান কমবে আর জনসংখ্যা আইন করে সামলানো যাবে এমন তত্ত্ব হাস্যকর এবং মিথ্যে। কিন্তু আরএসএস, বিজেপি, দিলীপ ঘোষ থেকে নরেন্দ্র মোদি, আদিত্যনাথ যোগী ঠিক এটাকেই অস্ত্র করতে চান, ইশারা অন্য দিকে, মুসলমানদের জনসংখ্যা বাড়ছে। তাই লাভ জিহাদের প্রসঙ্গ এনেছে এই আরএসএস–বিজেপির দল। উত্তরপ্রদেশে নতুন আইন এসেছে Prohibition of Unlawful Conversion of Religion Ordinance, 2020, আপাতত এটা পুরোদস্তুর আইন, এই আইন নভেম্বর ২০২০-তে আনা হয়। এক মাসের মধ্যে ১৪টা মামলা দায়ের করা হয়, ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়, এর মধ্যে ১৩টা মামলায় মামলা করেছেন বাড়ির লোকজনেরা, ছেলেটি বা মেয়েটি নয়, একজন মহিলা মামলা দায়ের করেছে, সে আপাতত বাবা-মায়ের কাছে আছে এবং নাবালিকা। সারা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে মুসলমান বাবা-মায়েরা এখন তাদের সন্তানদের বলছেন, আর যাই করিস, হিন্দু মহিলাকে ঘরে আনিস না, কেন? কারণ, হিন্দু বাহিনী ঘুরছে খবর পেলে মেরে দেবে। কিন্তু প্রেম তো আর রং, রূপ, ধর্ম দেখে হয় না, অর্থ দেখেও নয়। উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলার রাজেপুর গ্রামের আব্বাস আলির রাজা ব্যাটা শওকতের, রামপাল জয়সওয়ালের গুড়িয়া বেটি রুবিকে ভালো লেগে গেল। ১৬ বছরের রুবিও প্রেমে পড়ল ১৯ বছরের শওকতের। তারা ঘর ছেড়ে পালাল, ধরা পড়ে গেল, লাভ জিহাদ, বা জোর করে ধর্মান্তকরণ, অপহরণ ইত্যাদি অভিযোগ আনা হল শওকতের বিরুদ্ধে, একটা কথাও বলানো যায়নি রুবির মুখ থেকে, কিন্তু রুবি যেহেতু ১৬ বছরের তাই তাকে মা বাবার কাছে পাঠানো হল। শওকত জেলে, রুবির বিয়ে দিল তার বাবা-মা, শওকত জেল থেকে বের হল, আবার দেখাশুনো শুরু, আবার ওই পুরনো মামলায় গ্রেফতার হল শওকত। ক’দিন আগে জেল থেকে জামিনে মুক্ত শওকত ফিরে এসেই রুবিকে নিয়ে চম্পট, রুবির কোনও বন্ধু সম্ভবত বলেছিল যা রুবি যা, জিলে অপনি জিন্দেগি, আবার মামলা। কিন্তু এতদিনে রুবি সাবালিকা, কোর্টে গিয়ে সেটা জানানোর পরে আইনত আর কিছু করা যাচ্ছে না, তাই রামপালের ছেলে শৈলেন্দ্র জয়সওয়াল দলবল নিয়ে এল শওকতের বাবা আব্বাস আলির বাড়িতে, বাজার থেকে ফিরে বাড়ির বাইরে শওকতের মা-বাবা বসে আছে, শৈলেন্দ্র তার দলবল নিয়ে কেবল লাঠি আর বেলচা দিয়ে পিটিয়ে মারল শওকতের বৃদ্ধ বাবা-মাকে। পরের দিন প্রায় সমস্ত মিডিয়াতে খবর, গ্রামে পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে খুন, দু’জন মৃত। বিক্রি হয়ে গিয়েছে মিডিয়া, বিক্রি হয়ে গিয়েছে চতুর্থ স্তম্ভ। কেউ বলছে না, স্রেফ মুসলমান বলে দুজন বয়স্ক সহ নাগরিককে পিটিয়ে মারল ওই শৈলেন্দ্র আর তার দলবল। কিন্তু এই খুন করার সাহস পেল কোত্থেকে? কে তাকে উসকাল? আমরা জানি। এই উসকানিই দিয়ে চলেছে মোদি–যোগী সরকার, তারা কিশোর কিশোরীর প্রেমেও দখলদারি করতে চায়। মোদি–যোগী সাম্রাজ্যে প্রেম করাও মানা।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

বজরংবলীর আশীর্বাদ পাবেন ৫ রাশির জাতক
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Stadium Bulletin | কোন ৫ কারণে প্লে-অফের দোরগোড়ায় KKR?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে সতর্কবার্তা নির্বাচন কমিশনের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
কখন শচীনের দ্বারস্থ হন কোহলি?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
চোটে জর্জরিত ম্যান ইউয়ের আজ কঠিন লড়াই
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মমতার দিদিগিরি বরদাস্ত করব না, কলকাতায় ফিরেই হুঙ্কার রাজ্যপালের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুদীপের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মঙ্গলবার ৪ কেন্দ্রে ভোট, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সন্দেশখালি ভাইরাল ভিডিওতে কন্ঠস্বর গঙ্গাধর-জবারানির, দাবি শান্তি দলুইয়ের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
জিতলে গম্ভীরের কৃতিত্ব হারলে দায় শ্রেয়সের? প্রশ্ন কিংবদন্তির  
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রক্ষাকবচ সত্ত্বেও গ্রেফতার বিজেপি নেতা?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
আগামিকাল মুর্শিদাবাদে সেলিমের পরীক্ষা, ১৩ মে বহরমপুরে অধীরের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
শাহের মুখে সন্দেশখালি আছে, নেই ভিডিও নিয়ে কোনও কথা
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
বেহাল সড়ক, প্রশাসনকে জানিয়েও হয়নি লাভ
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team