Placeholder canvas
কলকাতা শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
চতুর্থ স্তম্ভ : মৌলবাদ
সম্পাদক Published By:  • | Edited By:
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ১০:৩০:৩১ পিএম
  • / ৫৬৫ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • • | Edited By:

প্রকাশ ঝা, বলিউডের অন্যতম চিত্র পরিচালক, বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশের ভোপালে, তাঁর ওয়েব সিরিজ আশ্রমের তিন নম্বর সিরিজের শ্যুটিং করছিলেন, ভোপালের পুরনো জেল গেটের পাশেই শ্যুটিং স্পট, সেখানে বজরং দলের নেতারা আসে, ভাঙচুর করে, ইউনিটের লোকজনদের মারধর করে, প্রকাশ ঝার মুখে কালি মাখিয়ে দেওয়া হয়, শ্যুটিং বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কেন? ওই আশ্রম ওয়েব সিরিজ নাকি হিন্দু ধর্ম, তার দেব দেবী, বাবাজী মাতাজীদের অপমান করেছে, কাজেই ওই ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং হবে না। এ ঘটনা প্রথম নয়, এর আগে মণিকর্নিকা শ্যুটিংয়ের আগে, একই ভাবে শ্যুটিং বন্ধ করা হয়েছে, ছবি রিলিজ হতে না দেওয়ার ঘটনাও কম নয়। এবারেও তাই হল, শ্যুটিং বন্ধ হয়ে গ্যালো। বা বন্ধ করে দেওয়া হল।

তো সরকার কী করছে? ভারতবর্ষের কোনও আইনেই কোন এক সংগঠন নিজে নিজেই ঠিক করে দিতে পারে না, কোন ছবি হবে, কোন ছবি হবে না। আমাদের সংবিধান, এ ধরণের মাতব্বরি করার কোনও অধিকার দেয়নি, এখানে ফ্রিডম অফ স্পিচ আছে, মৌলিক অধিকার আছে, তার কিছু শর্তও আছে, কিন্তু তা দেখার দায়িত্ব বজরং দল, হিন্দু জাগরণ সমিতি বা আব্বাস সিদ্দিকিকে দেওয়া হয়নি। তাঁরা বিরোধিতা করতেই পারেন, তাঁরা মিছিল মিটিং করতেই পারেন, আদালতে যেতেই পারেন, কিন্তু আইনের কোনও ধারা, সংবিধানের কোনও অধ্যায়, তাদেরকে নিজের হাতে আইন তুলে নেবার দায়িত্ব দেয়নি, বরং একতরফা ভাবে যদি কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেয়, তার জন্য শাস্তির বিধান আছে।

তো মধ্যপ্রদেশে কী হল? একজনও গ্রেফতার হয়নি, একজনও থানা হাজতে নেই। উলটে সরকার, প্রশাসন জানিয়ে দিলেন গতকাল রাতে যে, এখন থেকে কেউ শ্যুটিং করতে এলে, তাকে তার আগে শ্যুটিং স্ক্রিপ্ট জমা করতে হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সেই স্ক্রিপ্ট পড়ে অনুমোদন দিলে, তবে শ্যুটিং করা যাবে, নইলে নয়।

ভাবুন একবার, সত্যজিৎরায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, গোবিন্দ নিহালনি কোন স্ক্রিপ্টে কাজ করবেন, করতে দেওয়া হবে, সেটা ঠিক করবে একজন আমলা আর কতগুলো নির্বোধ সাম্প্রদায়িক রাজনীতিবিদ, এটাই ফতোয়া। কে কাকে বিয়ে করবে? কে কার সঙ্গে বিয়ে করবে? স্বরস্বতী পুজোর দিনে করবে না ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে করবে? কে কী খাবে শুধু নয়, কার ফ্রিজে কোন মাংস রাখা যেতে পারে? কোন মসজিদ থাকবে? কোনটা ভেঙে ফেলা হবে? সেটা ঠিক করবে আরএসএস, হিন্দু জাগরণ সমিতি, বজরঙ্গ দল, বিজেপির নেতারা, তাদের নেতা চূড়ামণি মোদিজী গণতন্ত্রের কথা বলবেন, বমি পাচ্ছে?

দাভোলকরকে মারা হয়েছে, পানসারেকে খুন করা হয়েছে, গৌরি লঙ্কেশকে গুলি করে মারা হয়েছে, একলাখ এবং আরও কতজনকে জয় শ্রী রাম বলতে বলা হয়েছে, তারপর পিটিয়ে মারা হয়েছে, জ্যান্ত আগুনে জ্বালিয়ে মারা হয়েছে, দোষ? সে মুসলমান। ক’জন শাস্তি পেয়েছে? কজনের ফাঁসি হয়েছে? কজনের যাবজ্জীবন জেল হয়েছে? কতজনের পাঁচ সাত বছরেরও জেল হয়েছে? একজনেরও নয়।

সেদিন প্রকাশ ঝা ইউনিটের ওপর আক্রমণ চালানোর সময় বিজেপির সাংসদ হাজির ছিলেন, গ্রেফতার হয়েছেন? না। এখনও পর্যন্ত আমাদের সংবিধানে সেকুলার কথাটা লেখা আছে, সেই সেকুলার নিয়ে বিজেপি আইটি সেল বা আব্বাস সিদ্দিকিরা যত হাসি  তামাশা  ঠাট্টা করুন, এখনও লেখা আছে। তারপরেও একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে, যে সরকার আজ মসনদে, তারা এসেইছে এক ইসলামিক সৌধ ভেঙে, হিন্দু ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দিতে, অতএব শাস্তি কেনই বা হবে?

ওদিকে তাকিয়ে দেখুন, বাংলাদেশে, অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছয় আসামির মধ্যে, সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব, ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহকে, মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, তারা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য,তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন : চতুর্থ স্তম্ভ : ধর্ম যার যার উৎসব সবার

আর একজন আসামি, উগ্রপন্থি ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবীকে রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে,হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত না থাকলেও ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে, অভিজিৎ রায়কে হত্যার প্ররোচনা দিয়েছিলেন, বলে তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়। বাংলাদেশ, ঘোষিতভাবেই ইসলামিক দেশ, তার রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম, সেখানে মুক্ত স্বাধীন, গণতান্ত্রিক চেতনা নিয়ে যুক্তিবাদের কথা বলা এক হিন্দু যুবককে খুন করা হল, বলা হল তিনি ইসলাম বিরোধী। সে দেশের প্রশাসন দোষীদের গ্রেফতার করল, বিচারব্যবস্থা তাদের বিচার করল, মৃত্যুদন্ডের মত রায় দিল, তা কার্যকরীও করা হল।

এই ক’দিন আগে কুমিল্লাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর যে চেষ্টা হল, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্র, যুবক, শিক্ষিত সমাজ প্রতিবাদ করলেন, দেশ জুড়ে মানুষ দাঁড়ালেন সেদেশের সংখ্যালঘুদের পাশে, হিন্দু মন্দির পাহারা দিলেন মুসলমান ভাইয়েরা, দোষীরা ধরা পড়েছে, সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের ভূমিকা এক জননেত্রীর, এক রাষ্ট্রপ্রধানের, যিনি সে দেশের সংখ্যাগুরু সংখ্যালঘু, প্রত্যেকের রাষ্ট্রপ্রধান, তিনি রাজধর্ম বোঝেন, আর মোদিজীর রাজনীতিতে পা দেওয়াই তো, এক সাম্প্রদায়িক সংগঠনের হাত ধরে, যারা হিন্দু মুসলমান মেরুকরণের ফায়দা তুলে দেশ শাসন করতে চায়, শাসন করাও বলা ভুল, দেশটাকে বেনিয়াদের হাতে বেচে দিতে চায়, তাদের আইডল গান্ধী হত্যাকারী গডসে, বিশ্বাসঘাতক সাভারকর, চরম সাম্প্রদায়িক গোলওয়ালকর। তারা সেকুলার নয়, হিন্দু রাষ্ট্র চায়, তারা সংবিধান নয়, মনু সংহিতা চায়। মোদিজী রাজধর্ম নয় হিন্দু ধর্ম বোঝেন, তাই এদেশে সংখ্যালঘু, গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক মানুষজন, তাদের ভাষা, তাদের খাবারের অভ্যেস, তাদের সিনেমা, গান, কবিতা, পেইন্টিং, উপন্যাস কোনওটাই নিরাপদ নয়। সেইজন্যেই একজন চলচ্চিত্র পরিচালকের মুখে কালি লেপে দেওয়া যায়, শ্যুটিং বন্ধ করে দেওয়া যায়, দোষীরা শাস্তি তো পায়ই না, উলটে পরের দিন সরকার জানিয়ে দেয় এবার থেকে তারাই ঠিক করবে, কোন সিনেমার শ্যুটিং হবে, কোনটার হবে না।

এইখানে এসে ইসলামিক মৌলবাদ, আরএসএস-এর হিন্দুরাষ্ট্রের ধারণা, হিন্দু মৌলবাদ মিলে যায়, এক হয়ে যায়। তারা একে অন্যের পরিপূরক হয়ে ওঠে। এইখানেই একটা প্রশ্ন আমাদের সামনে আসে, ধর্ম কী?

আরও পড়ুন : চতুর্থ স্তম্ভ : মোদিজীর জমিদারি

সাধারণভাবে ধর্ম শব্দের মানে হল, যা ধারণ করা হয়, তাই ধর্ম। আগুনের ধর্ম উত্তাপ দেওয়া, হাওয়ার ধর্ম বয়ে চলা। সবকিছুরই যে খুব নির্দিষ্ট ধর্ম এক ব্রাকেটেই থাকবে তাও নয়, কিন্তু সবকিছুরই একটা ধর্ম আছে, মানুষেরও আছে। মানুষ হওয়াটাই ধর্ম, মানবধর্ম। তাই যদি হত তাহলে তো ল্যাটা চুকে যেত, কিন্তু ভৌগলিক কারণেই মানুষ তো আর এক জায়গার নয়, বিভিন্ন অঞ্চলের, বিভিন্ন আবহাওয়া অঞ্চলের, কেউ নদীর ধারে তো কেউ মরুভূমিতে, কেউ পাহাড়ে তো কেউ সমতলে, কেউ জঙ্গলে তো কেউ সমুদ্রবেলায়। সেখানে থাকা মানবগোষ্ঠির বিভিন্ন খাদ্যাভ্যাস, বিভিন্ন সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, তার ধর্ম প্রাতিষ্ঠানিক আকার নিয়েছে, তা একে অপরের থেকে আলাদাও হয়েছে, সমস্যাটা সেখানেই। ঠিক যেরকম আপনি আপনার খাবারের অভ্যাস, ইলিশ মাছ বা চিংড়ির পাতুরিকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন, ঠিক সেরকমই অন্য আরএক গোষ্ঠি নধর ঝলসানো শূকরকে মনে করে, এটাই তো খাবার, কেউ বিফ স্টেকের ওপর সস ঢেলে খেয়ে পরম তৃপ্তি কেবল পায় তাই নয়, সেটাকেই সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে।

মানুষ তার ভাষাকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে, তার সুর, গানকে মনে করে অনন্য। ঠিক সেরকম, ওই আদি মানব গোষ্ঠির মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মও এক এক গোষ্ঠির কাছে চুড়ান্ত, সর্বশ্রেষ্ঠ, শেষ কথা। ওই খানেই রয়েছে স্বর্গসুখ, বেহস্তের হুরি পরী, হেভেনলি প্লেজার। বাকিরা নিম্ন শ্রেণির, তারা জানেই না জীবনের আদি রহস্য, জীবনের অর্থ। ওই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম যে বিভেদ তৈরি করে, করেছে, তাই আজ আধুনিক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাথাব্যাথা, সবচেয়ে বড় সমস্যা। ধর্মের নামে, ধর্ম প্রতিষ্ঠার লড়াইতে আজ পর্যন্ত যত মানুষ মারা গেছে, কোনও অতিমারি, মহামারীতেও অত মানুষ মারা যায়নি, অথচ ধর্মের মানে হল যা আমরা ধারণ করি, স্বেচ্ছায় যা আমরা পালন করি। একটু যুক্তি বোধ দিয়ে ভেবে দেখুন, এই ধর্মের লড়াই মানুষকে কোথায় নিয়ে যায়? কোন জাহান্নমে? ইসলামের অবমাননা হয়েছে, নবীর অপমান হয়েছে বলে যে লোকটি গিয়ে ব্লগার অভিজিৎ রায়কে খুন করল, সে একবারও ভাবল না, তার এই কাজ, তার ভগবানকে কতটা ছোট করবে, তার যদি এটাই বিশ্বাস হয়, তার ভগবানই সর্বশক্তিমান, তাহলে সেই অপমানের জবাব তো তার ভগবানই দিতে সক্ষম, সে নিজের হাতে বিচারের ভার নিল, তার ভগবানকে অক্ষম প্রমাণ করে।

একজন অহিন্দু বা হিন্দু বা নাস্তিক, কোনও এক দেবদেবীকে অপমান করেছে। বিশ্বাস বলছে, সেই দেব বা দেবী সর্বশক্তিমান, তাহলে সেই অপমান, সেই অবমাননার জবাব তো সেই দেবতা বা দেবীই দেবেন, ভক্তদের তো দায় থাকার কথা নয়, কিন্তু অধিকাংশ ভক্তই মনে করে, আসলে মনে করে, তাদের আরাধ্য দেবতা আসলে অন্যায়ের প্রতিকার করতে সক্ষম নয়, আর সক্ষম নয় বলেই, তারাই হাতে তুলে নেয় অস্ত্র, নিজের দেবতাকে ছোট করে। প্রাতিষ্ঠনিক ধর্ম এই মৌলবাদের জন্ম দেয়, সেই মৌলবাদ আজকের পৃথিবীর এক গভীরতর অসুখ, সে অসুখ থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, যুক্তিবাদ, শিক্ষা আর বিজ্ঞান চর্চা। আসুন সেদিকে মন দেওয়া যাক, মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা বড্ড জরুরি।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

মুখ্যমন্ত্রীর চটি ছিঁড়ে যাওয়াকে কটাক্ষ দিলীপের
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
উধাও বিজেপির পতাকা, ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক তরজা
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ভরাডুবির মরসুম নিয়ে কী সাফাই দিলেন হার্দিক
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
বজরংবলীর আশীর্বাদ পাবেন ৫ রাশির জাতক
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Stadium Bulletin | কোন ৫ কারণে প্লে-অফের দোরগোড়ায় KKR?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে সতর্কবার্তা নির্বাচন কমিশনের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
কখন শচীনের দ্বারস্থ হন কোহলি?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
চোটে জর্জরিত ম্যান ইউয়ের আজ কঠিন লড়াই
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মমতার দিদিগিরি বরদাস্ত করব না, কলকাতায় ফিরেই হুঙ্কার রাজ্যপালের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুদীপের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মঙ্গলবার ৪ কেন্দ্রে ভোট, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সন্দেশখালি ভাইরাল ভিডিওতে কন্ঠস্বর গঙ্গাধর-জবারানির, দাবি শান্তি দলুইয়ের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
জিতলে গম্ভীরের কৃতিত্ব হারলে দায় শ্রেয়সের? প্রশ্ন কিংবদন্তির  
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রক্ষাকবচ সত্ত্বেও গ্রেফতার বিজেপি নেতা?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team