Placeholder canvas
কলকাতা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
অমিত শাহ সংসদে দাঁড়িয়েই মিথ্যে কথা বলছেন
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By: 
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৪:৩০:০১ পিএম
  • / ৭৭ বার খবরটি পড়া হয়েছে

ইতিহাস নিয়ে অনর্গল মিথ্যে বলে যাওয়াটা আরএসএস–বিজেপির বহু দিনের অভ্যেস। এবং এই ১৪ বছরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে মিথ্যে বলার কারখানা। ইন্টারনেট সার্চ দিলেই সেসব মিথ্যে বেরিয়ে আসছে গলগল করে আর সেই মিথ্যে তথ্য দেখিয়ে মিথ্যের নির্মাণ হচ্ছে প্রতিদিন, রোজ নতুন মিথ্যে, বড় মিথ্যে। গোয়েবলস-এর শিক্ষা, ছোট নয় বলতে হবে বিগ লাইজ, বড় মিথ্যে আর সেটাও প্রতিদিন বলতে হবে তাহলেই মানুষ, মানুষের এক বড় অংশ সেই মিথ্যের জালে পড়বে। একদল মেনে নেবে, একদলের মধ্যে সংশয় জন্ম নেবে যা তাদের সত্যি থেকে সরিয়ে দেবে। এবং দুটোতেই যে মিথ্যে রটাচ্ছে তার লাভ। এবং প্রেক্ষিত ছাড়াই কিছু ঘটনাকে এমনভাবে রাখা হবে যা আরও বড় মিথ্যের জন্ম দেয়। যেমন ধরুন বলা হয়, শেষের দিকে নেহরু প্যাটেলকে মন্ত্রিসভা থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন, কাশ্মীর বিষয়ক সিদ্ধান্তও নিজেই নিতেন। প্রেক্ষিতটা কী? গান্ধীহত্যার কিছুদিন পরেই বল্লভভাই প্যাটেলের বড় রকমের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এবং উনি দেরাদুনের এক রেস্ট হাউসে ছিলেন। ওই সময়ে তাঁর লেখা সমস্ত চিঠিই দেরাদুন থেকেই লেখা। কাজেই শারীরিক অক্ষমতাই কিছুটা অন্তরায় ছিল যদিও তিনি প্রতিটি বিষয়ের খবর নিতেন, নিজের মতামত জানাতেন। ওনার চিঠিপত্রের সংকলন আমেদাবাদের এক প্রকাশনা সংস্থা থেকে বের করা হয়েছে, প্রখ্যাত ঐতিহাসিক দুর্গা দাস এই চিঠিগুলির সম্পাদনা করেছেন। কেন এই চিঠির কথা বললাম? কারণ আজকের আলোচনায় সর্দার প্যাটেলের এই চিঠিপত্রের সংকলন থেকেই বহু কথা উঠে আসবে। ওই সংকলনের প্রথম খণ্ডতেই কাশ্মীর প্রসঙ্গে যাবতীয় চিঠিচাপাটি আছে। সর্দার প্যাটেল স্বাধীনতার কিছু আগে থেকেই রাজা মহারাজাদের অধীনে থাকা প্রায় সমস্ত রাজ্যগুলোতে গেছেন, কথা বলেছেন, তাদের রাজি করিয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে যুদ্ধও হয়েছে, দেশের আর্মি নেমেছে। গান্ধী রাজা রাজড়াদের কাছে আগেই আবেদন করেছিলেন যাঁতে তাঁরা দেশের মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হন। অন্যদিকে আরএসএস-এর ভূমিকা ছিল ঠিক বিপরীত। তাদের সঙ্গে এই রাজা রাজড়াদের এক ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল। তাঁরা বহুভাবে আরএসএস-কে অর্থ ও অন্যান্য সাহায্য দিয়েছেন। তাঁরা স্বাধীন ভারতবর্ষ তার সংবিধান বা ত্রিবর্ণ পতাকা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করতেন শুধু নয়, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করতেন যাতে করে তারা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচার করতে পারে। এই রাজারা মূলত হিন্দু ছিলেন, এঁদের বদান্যতায় আরএসএস প্রচারকেরা তাদের রাজ্যে হিন্দু চেতনা, হিন্দু রাষ্ট্রের কথা প্রচার করতেন। গোয়ালিয়রে এই রাজাদের কাছ থেকেই ইতালিয়ান বেরেত্তা পিস্তল জোগাড় করেছলেন নাথুরাম গডসে, যা দিয়ে গান্ধীজিকে খুন করা হয়েছিল। সেইরকম একজন প্রচারক ছিলেন প্রেমনাথ ডোগরা, যিনি বলরাজ মাধোকের নির্দেশে কাশ্মীরে হরি সিংয়ের সাহায্য নিয়ে ওই একই কাজ করে চলেছিলেন। ১৮৪৬ সালে রাজা গুলাব সিং ৭৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ব্রিটিশদের কাছ থেকে কাশ্মীর, লেহ, লাদাখ, গিলগিট, বালটিস্থান, পুঞ্চ, রাজৌরি এলাকা কিনে নেন, বদলে কিছু করও দিতে হত। বংশানুক্রমে সেই শাসন আসে মহারাজা হরি সিংয়ের কাছে। তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ হিন্দু, দারুণ সম্পর্ক ছিল আরএসএস-এর বলরাজ মাধোকের সঙ্গে, সেই সূত্রে আরএসএস প্রচারক প্রেমনাথ ডোগরার সঙ্গেও। অন্য রাজারাজড়ারা যখন ভারতভুক্তির প্রস্তাব মেনে নিলেন, তখন এই হরি সিং তা মানেননি, আবার তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দিতেও চাননি। তাঁর লক্ষ্য ছিল এক বৃহৎ ডোগরাস্থান বানানো। তিনি ধীরে ধীরে সেই দিকেই এগোচ্ছিলেন। এবং তাঁর এই কাজে পূর্ণ সমর্থন ছিল আরএসএস-এর। কারণ জওহরলালের নেতৃত্বে স্বাধীন ভারতের সংবিধান থেকে জাতীয় সঙ্গীত থেকে জাতীয় পতাকা কোনওটাই আরএসএস-এর পছন্দ তো ছিলই না বরং প্রকাশ্যেই তার বিরোধিতাও করেছেন। মহারাজা হরি সিংও একইভাবে আরএসএস-এর পছন্দের মানুষ ছিলেন।

আপনি দেখুন কাশ্মীর নিয়ে আরএসএস কংগ্রেসকে দায়ী করে, নেহরুকে দায়ী করে কিন্তু হরি সিংয়ের নাম ভাদ্র বউয়ের মতোই মুখে আনে না। তো সেই একই লাইন ধরে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন, আর দু’দিন যুদ্ধ টানলেই আমরা গোটা পাক অকুপায়েড কাশ্মীর পেয়ে যেতাম, নেহরু সেটা হতে দেননি। কারা বলছে? যাঁদের নেতারা স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রিটিশদের সঙ্গে ছিলেন, যাঁদের নেতারা ব্রিটিশদের হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ধরিয়ে দিয়েছেন, ব্রিটিশদের কাছে মুচলেকা দিয়েছেন, মুসলিম লিগের সঙ্গে জোট বেঁধে কংগ্রেসের বিরোধিতা করেছেন, মুসলিম লিগের সঙ্গে জোট বেঁধে প্রাদেশিক সরকারে থেকেছেন মন্ত্রী হয়েছেন, সেই তাঁদের এক উত্তরাধিকারী সংসদে বসে নেহরুর ভুল ধরছেন। আরও আশ্চর্যের কথা, সংসদে কংগ্রেসের একজনও রুখে দাঁড়ালেন না, সত্যি ইতিহাসটা বললেন না। সংসদের বাইরে বুদ্ধিজীবীরা চুপ করে আছেন, বাঘাবাঘা বাম বুদ্ধিজীবী ঐতিহাসিকদেরও দেখে মনে হচ্ছে তাঁরাও ক্লান্ত, চুপ করেই আছেন। আসুন ছোট্ট করে বোঝার চেষ্টা করি আসলে বিষয়টা কী ছিল। ১৯৪৭-এর ১৫ আগস্ট এই উপমহাদেশে স্বাধীন ভারত ছিল, স্বাধীন পাকিস্তান ছিল আর স্বাধীন কাশ্মীর ছিল, কাশ্মীরের গিলগিট আর বালটিস্তানে মহারাজা হরি সিংয়ের তৈরি করা স্ক্লাউট বাহিনীর কমান্ডারেরা তাদের জায়গা আগেই তুলে দিয়েছিল পাকিস্তানের হাতে। কাজেই কাশ্মীর ছিল পুঞ্চ রাজৌরি, জম্মু, কাশ্মীর ঘাঁটি আর লেহ লাদাখ নিয়ে এক স্বাধীন রাজত্ব, রাজা হরি সিং। গান্ধীজি গিয়েছিলেন, বুঝিয়ে উঠতে পারেননি, মাউন্টব্যাটেন গিয়েছিলেন দেখা করে জানতে যে উনি ঠিক কী চান। পেটে ব্যথা করছে, এই অজুহাতে রাজা হরি সিং দেখাও করেননি মাউন্টব্যাটেনের সঙ্গে। কিন্তু হাল ছাড়েননি নেহরু, গোপালস্বামী আয়েঙ্গার কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী, তাঁকে দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, নেহরু-প্যাটেল দুজনে মিলেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। গোপালস্বামী প্যাটেলকে চিঠিতে লিখছেন, I cannot proceed further with this foolish man, not having any powers for putting pressure on him. I thought I could persuade him, but I have not succeeded. প্যাটেলের চিঠি সংকলনের প্রথম খণ্ডে ১১১ পাতায় এই চিঠি পাবেন। উনি বলছেন যে এই বোকা মানুষটাকে বোঝানো আমার কম্ম নয়। এদিকে ওই সময়েই হরি সিংয়ের মাথায় ঢুকেছে স্বাধীন ডোগরাস্থান, হিন্দুদের এলাকা বাড়ানোর জন্য হিমাচলপ্রদেশেরও কিছু জায়গা জোড়ার কথা ভাবছেন, তাই তিনি এক স্ট্যান্ড স্টিল এগ্রিমেন্টের কথা তুললেন, যাতে বলা হল যে যেখানে আছে, সে সেখানে থাকবে। ভারত সেই বৃহৎ কাশ্মীরের কোনও অংশেই ছিল না কিন্তু পাকিস্তান ইতিমধ্যেই গিলগিট আর বালটিস্তান দখলে এনেছে। তারা এই প্রস্তাবে রাজি হল, কারণ তাদের লক্ষ্য ছিল ভারতকে বিরত রাখা, তারা এই এগ্রিমেন্ট মানার পরে জম্মুতে প্রেমনাথ ডোগরা, আরএসএস সরসংঘচালক গোলওয়ালকর, বলরাজ মাধোক ইত্যদির আলোচনাও হয়।

আরও পড়ুন: মহুয়া মৈত্র, ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্র আর বিজেপি

সেদিন যদি সত্যিই স্বাধীন ডোগরাস্থান হত, তাহলে সেখানে শেখ আবদুল্লাকে জেলে পুরে রেখেই এই অঞ্চলে এক হিন্দু রাজার শাসন পাকাপোক্তভাবেই হত, ভারতভুক্তির কোনও সম্ভাবনাই থাকত না। কিন্তু পাকিস্তান মুখে স্ট্যান্ড স্টিল এগ্রিমেন্ট মেনে নিলেও পাকিস্তান কাবালিদের, স্থানীয় আদিবাসী সরদারদের ছদ্মবেশে এবং তাদের পেছনে পাক বাহিনী ঢোকানো শুরু করে। ওদিকে কাশ্মীরে প্রজা সভা ততদিনে এই হরি সিংয়ের অনুগামী এবং আরএসএস সমর্থকদের হাতে যারা শেখ আবদুল্লা বা বলরাজ পুরিকে দেশদ্রোহী বলছেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বোঝা গেল পাক বাহিনী বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, লেহ লাদাখ কেবল দখলই করেনি, শ্রীনগর থেকে সামান্য দূরে আছে, শ্রীনগরের ইলেক্ট্রিসিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এইবারে টনক নড়ল রাজা হরি সিংয়ের, ছুটে এলেন সংঘ নেতা গুরু গোলওয়ালকর। আলোচনার পরে হরি সিং নেহরুকে চিঠি লেখে আর্মি পাঠিয়ে সাহায্যের আবেদন জানালেন, নেহরু সাফ জানিয়েছিলেন আগে ভারতভুক্তিকরণ, তারপর সেনা নামবে। রাজা হরি সিং ইতিমধ্যে বিপদ দেখে শেখ আবদুল্লা সমেত তাঁর লোকজনদের ছেড়ে দিয়েছেন, তাঁরা পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে শুরু করেছেন। হরি সিং লোটাকম্বল বেঁধে জম্মুতে পালিয়ে এলেন এবং এর পরে তিনি আর কোনওদিন শ্রীনগরে গেলেনই না, তিনি মুম্বই আর জম্মুতেই কাটালেন। সেনাবাহিনী ডাকোটা বিমানে শ্রীনগরে রাতে নামার চেষ্টা করল, নেহরু শেখ আবদুল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করলেন, সেদিন টর্চের আলো জ্বেলে বিমান নামানো হয়েছিল এবং সেই প্রথম পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হল। এ যুদ্ধের প্রথম সমস্যা ছিল ভারতীয় বাহিনীর সেনারা গিয়েছিলেন প্লেন ল্যান্ড থেকে। ওই অঞ্চলের সেনারা পাক বাহিনীতেই যোগ দিয়েছিল, তারা এমনিতেই উঁচু জায়গাগুলোর দখল নিয়েছিল, তারা ওই ঠান্ডায় বরফে লড়াইয়ে অভ্যস্ত ছিল আর ভারতীয় সেনা স্থানীয় মুক্তিবাহিনী নিয়ে লড়ছিল বটে, সে লড়াই এ মহিলারাও সামিল ছিলেন কিন্তু লড়াইটা দীর্ঘায়িত করছিল পাক বাহিনী। তাদের লক্ষ্য ছিল শীতকাল, একবার ডিসেম্বর পার করলে তারা আবার নতুন ভাবে আক্রমণে নামবে, এটাই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু তারই মধ্যে কাশ্মীর ঘাঁটির বড় এলাকা থেকে পাক বাহিনী সরে গেছে, লেহ লাদাখ মুক্ত, কিন্তু বিপদ বাড়ছে এটাও সত্যি ছিল।

আচ্ছা, এই সময়ে এই যুদ্ধ বা তার পদ্ধতি বা কাশ্মীর নিয়ে মন্ত্রিসভাতে থাকা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিও একটা কথাও বলেননি। কারণ ওই ভারত ভুক্তির সময়েই ৩৭০ ধারা এসেছে, কার্যকর করা হয়েছে, শ্যামাপ্রসাদ একটা কথাও বলেননি, প্যাটেলের কোনও বিরোধিতা ছিল না। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালীন প্যাটেল চিঠিতে পাওয়া যাবে, প্যাটেল লিখছেন, The military position is none too good, and I am afraid our military resources are strained to the uttermost. How long we are to carry on this unfortunate affair, it is difficult to foresee. ইউএনও-র ব্যাপার স্যাপার দেখে হতাশ, তার চেয়েও হতাশ এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত হতে দেখে, তিনি বুঝতেই পারছিলেন যুদ্ধ টানা যাবে না, এর মধ্যে ডিসেম্বর এসে গেল, ইউএনও থেকে চাপ বাড়ছে, এক যুদ্ধ বিরতির চুক্তি সম্পাদন হল, যেটাকে আজ বসে অমিত শাহ বলছেন ভুল। প্যাটেল, শ্যামাপ্রসাদ এমনকী সেই সময়ের আরএসএস সরসংঘচালক গোলওয়ালকরের কোনও নথি আছে যাতে তাঁরা এই যুদ্ধ বিরতির বিরোধিতা করছেন? না, একজনও না। মহারাজা হরি সিং, তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন ডোগরাস্থানের জন্যই আমাদের কাশ্মীরের এক অংশ থেকে গেছে পাকিস্তানের হাতে যা আমাদেরই। কিন্তু কহানি মে টুইস্ট হ্যায়, অমিত শাহ যখন বলছেন ওই পাকিস্তান অকুপায়েড কাশ্মীর আমাদের, আমরাও তো সেটাই বলছি। পিওকে আমাদের, কিন্তু অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময়ে ওই পিওকে লাইন ধরেই স্থায়ী সীমানার কথা বলা হয়েছিল? সেদিন পাকিস্তান সেই প্রস্তাব মানেনি, কিন্তু আরএসএস কি তার বিরোধিতা করেছিল? সেদিন পাকিস্তান রাজি হলেই পিওকে পাকাপাকিভাবেই পাকিস্তানের কাছেই থেকে যেত, এটাও কি সত্যি নয়? আসলে প্রেক্ষিত বাদ দিয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে ডাহা মিথ্যে বলছেন, বলেই চলেছেন। মনে রাখা দরকার নেহরুর মন্ত্রিসভা আর মোদিজির মন্ত্রিসভা এক নয়, সেখানে প্রত্যেকের কথা বলার অধিকার ছিল, তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেরাই এক বিশাল মাপের মানুষ ছিলেন, সেখানে সিদ্ধান্ত যৌথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হত। প্যাটেল থেকে শ্যামাপ্রসাদ থেকে মৌলানা আজাদ ইত্যাদির মতো নেতারা এই যুদ্ধ বিরতির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেননি, সেই সময়ের কোনও নথিতেও কোনও বিরোধিতার কথা নেই। আজ সংসদে দাঁড়িয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই বিষয় নিয়ে মিথ্যে বলছেন এটা তো স্বাভাবিক, অস্বাভাবিক হল কোনও তরফ থেকেই তার কোনও প্রতিবাদ নেই।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

কখন শচীনের দ্বারস্থ হন কোহলি?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
চোটে জর্জরিত ম্যান ইউয়ের আজ কঠিন লড়াই
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মমতার দিদিগিরি বরদাস্ত করব না, কলকাতায় ফিরেই হুঙ্কার রাজ্যপালের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুদীপের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মঙ্গলবার ৪ কেন্দ্রে ভোট, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সন্দেশখালি ভাইরাল ভিডিওতে কন্ঠস্বর গঙ্গাধর-জবারানির, দাবি শান্তি দলুইয়ের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
জিতলে গম্ভীরের কৃতিত্ব হারলে দায় শ্রেয়সের? প্রশ্ন কিংবদন্তির  
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রক্ষাকবচ সত্ত্বেও গ্রেফতার বিজেপি নেতা?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
আগামিকাল মুর্শিদাবাদে সেলিমের পরীক্ষা, ১৩ মে বহরমপুরে অধীরের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
শাহের মুখে সন্দেশখালি আছে, নেই ভিডিও নিয়ে কোনও কথা
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
বেহাল সড়ক, প্রশাসনকে জানিয়েও হয়নি লাভ
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রেফ্রিজারেটর ছাড়াই গরমে স্বস্তি পেতে খান এই জল
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
এসএসসির চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হল না আজ
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team