বর্ধমান: অতিবৃষ্টি আর বন্যার পরে খুঁটির নিচের মাটি সরে যাওয়ায় বিপদজনক হয়ে গিয়েছে খড়ি নদীর ওপরে কাঠের সেতু। ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়েই পারাপার করতে হচ্ছে একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের।
আউসগ্রামের তকিপুর এবং গলসির বাহিরঘন্যার মধ্যে যোগাযোগ মাধ্যম জলপথ। আগে নৌকা করে যাতায়াত করলেও কুড়ি বছর আগে নদীর উপরে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছিল এই সেতু। এই সেতু দিয়েই সাইকেল মোটর বাইক ছোট গাড়ি টোটো মোটর ভ্যান যাতায়াত করে।
আরও পড়ুন- ভাগীরথীর ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে দিনযাপন বহু পরিবারের
কয়েক হাজার বাসিন্দা রোজ বর্ধমান শহর গলসি এবং দুর্গাপুরে যাতায়াত করেন এই দুর্বল সেতুর মাধ্যমে। বর্ষার সময় ডিভিসির জলাধার থেকে জল ছাড়লে সেতুটি ডুবে যায় প্রতি বছর। বন্ধ হয়ে যায় যাতায়াত ব্যবস্থা। সম্প্রতি অতিবৃষ্টির জেরেও সেতুটি ডুবে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- রবিবার পর্যন্ত সর্তকতা উত্তরবঙ্গে, অন্যান্য জেলাতেও চলবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি
সেতুর দুই পাশের মাটি ধসে গিয়ে সেতুটি বিপদজনক হয়ে উঠেছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। এই জায়গায় পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা। বছর দশেক আগে সেতুর নকশা হয় । জমি মাপার কাজও সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কেন সেতু তৈরি হল না তা নিয়ে বিশ বাঁও জলে গ্রামবাসীরা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ওই এলাকায় পাকা সেতু তৈরির বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।