কাবুল: এখনও আফগানিস্তানে আটকে রয়েছে বহু বিদেশি নাগরিক। তালিবান শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরেও তাঁরা ফিরতে পারেননি নিজেদের দেশে। এবার সেই সমস্ত বিদেশিদের দেশে ফেরার অনুমতি দিল অন্তর্বর্তী তালিবান সরকার। বৃহস্পতিবার একটি অসামরিক বিমানে ২০০ জন মার্কিন নাগরিককে কাবুল থেকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে মার্কিন প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত মঙ্গলবার কাবুলে নতুন সরকার ঘোষণা করেছে তালিবান। সরকারের প্রধান নেতা হয়েছেন হাবিতউল্লা আখুন্দজাদ। আফগানিস্তানে ‘ইসলামিক আমিরাত’ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর দুদিনের মধ্যে তালিবানদের এই ঘোষণা ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিকমহল। বৃহস্পতিবার বিমানটিতে মার্কিনি ছাড়াও থাকবেন অন্যান্য বিদেশি নাগরিকেরাও। সূত্রের খবর, কাবুল ছাড়াও আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরীফেও আটকে রয়েছেন বহু নাগরিক। তালিবান সরকার তাঁদেরকেও নিজেদের দেশে ফিরে আসার অনুমতি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত অগাস্ট মাসে কাবুলের দখল নেয় তালিবান। তারপরই আফগানিস্তান ছেড়ে পালানোর হিড়িক পরে যায় আফগানদের মধ্যে। দূতাবাস খালি করে দেশে ফিরে যান সমস্ত বিদেশি কূটনীতিকেরা। বায়ুসেনার বিমানে মার্কিন আধিকারিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর গত ৩১ অগাস্ট আফগানিস্তান থেকে পুরোপুরিভাবে সেনা প্রত্যাহার করে আমেরিকা। যদিও তারপরেও সেদেশে আটকে ছিলেন প্রায় ২০০ মার্কিন নাগরিক। এবার তাঁদেরকেই ফিরিয়ে আনার তোড়জোর শুরু করল বাইডেন প্রশাসন।
The Taliban interim govt has agreed to allow the departure of 200 Americans and other foreigners who remain in Afghanistan and who are set to leave on charter flights from Kabul, Reuters reported.#TOLOnews pic.twitter.com/LRVJgLgBlR
— TOLOnews (@TOLOnews) September 9, 2021
আরও পড়ুন: পাক বিরোধী বিক্ষোভের খবর করা সাংবাদিকদের পেটাল তালিবান, প্রকাশ্যে ছবি
তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তানের মানবাধিকার ও নারী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আন্তর্জাতিকমহল। তারপর ঘরের বিদ্রোহ আর সংগঠনের দরকষাকষি মিটিয়ে অবশেষে সরকার গঠন করেছে কট্টরপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠীটি।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করল তালিবান
তবে, দু’দশক বাদে ক্ষমতায় আসার পর ‘তাঁদের পরিবর্তন’ হয়েছে বলে দাবি করেছিল তালিবান। শিক্ষায় নারীদের অধিকারের আশ্বাস দিয়েছিল তাঁরা। যদিও সম্প্রতি রাস্তায় নেমে মহিলাদের তালিবান বিরোধী বিক্ষোভ সেই ‘আশ্বাসের’ প্রতি ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তারই মধ্যে এবার মার্কিনিদের প্রতি তালিবানের ‘নমনীয় আচরন’ আন্তর্জাতিক চাপের ফলাফল বলেই মনে করছে কূটনৈতিকমহল।