জলপাইগুড়ি: ভোটে জিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে বিনামূল্ ফর্ম পাবেন সাধারণ মানুষ৷ তবে বেশ কিছু জায়গায় টাকার বিনিময়ে ফর্ম বিলির অভিযোগ উঠেছে৷
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে টাকার বিনিময়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিলির অভিযোগ উঠল৷ অভিযুক্ত মহিলা শিখা দে সরকার ও তাঁর পরিবার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলেই জানিয়েছে অভিযোগকারীরা।
আরও পড়ুন- শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকারের দ্বিতীয় পর্ব, সঙ্গে থাকছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার
জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জের আমবাড়ি এলাকার ঘটনা। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা নিতে ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে৷ তার জন্য কোনও মূল্য দিতে হবে না৷ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে বিনামুল্যেই পাওয়া যাবে এই ফর্ম। অথচ এই ফর্ম বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফর্ম প্রতি ৬০-১০০টাকা করে নেওয়া হচ্ছে৷ এই বিষয়ে খোঁজ খবর করলে অভিযুক্ত মহিলা জানান, যে মহিলারা লেখাপড়া না জানার কারণে ফর্ম পূরণ করতে পারছেন না, তাঁদের থেকে সামান্য টাকা নেওয়া হচ্ছে ফর্ম পূরণ করে দেওয়ার জন্য।
অন্যদিকে দিন কয়েক আগে এই প্রকল্পের ফর্ম ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বেশ কিছু জায়গায় ফর্ম বিলির বিনিময়ে টাকা চাওয়া হয়। এই জাতীয় নানাবিধ অভিযোগ আসতে শুরু করে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ দফতরে। যার ভিত্তিতে এদিনই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন তিনি, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে কোনও টাকা দিতে হবে না। ফর্ম নিয়ে দূর্নীতি রুখতে কড়া পদক্ষেপও করছে নবান্ন ‘ ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকদের তরফ থেকেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর৷ এই হেল্পলাইন নম্বরে সরাসরি যে কোনও প্রকল্পের বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযোগ জানাতে পারবেন মানুষ৷
কারোর কোন অভিযোগ থাকলে সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে অবিলম্বে সরকারি হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করে অভিযোগ জানান – @MamataOfficial
নাম্বারটি হলো – 1070 / 2214-3536#FAM4TMC#AbkiBaarDidiSarkar pic.twitter.com/UOHrTU7Ieo
— PINTU HALDER ( দমদম ) (@pintuha36437466) August 12, 2021
কোন উপায়ে ওই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘দুয়ারে সরকারে অধীনে ক্যাম্প করা হবে বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে গিয়ে ফর্ম নিতে হবে উপভোক্তাদের। প্রত্যেক ফর্মে একটি করে নম্বর থাকবে। একটি ফর্মের একটিই নম্বর হবে। ওই নম্বর আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। অর্থাৎ ওই ফর্ম নকল করা বা ফর্ম নিয়ে জালিয়াতি করা যাবে না।’