বীরভূম: দুপুরে ইস্তফা, বিকেলেই এক মঞ্চে শুভেন্দুর পাশে। রাজনীতিতে যে কোনও কিছুই অসম্বব নয়, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী বীরভূম জেলা পরিষদের সদস্য বিপ্লব ওঝা। মঙ্গলবার তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন বীরভূম জেলার সহ সভাপতি এবং জেলা পরিষদের সদস্য বিপ্লব। এরপরই বিকেলে নলহাটিতে শুভেন্দুর সভামঞ্চে তাঁকে দেখা যায়। এদিনই শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের বিপ্লব। সকালে অভিমান এবং ক্ষোভের কারণে দল ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়োছিলে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিপ্লব। তাঁর অভিযোগ, প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে দলীয় নেতৃত্ব তাঁর খোঁজ রাখে না। দল তাঁকে কোনও কর্মসূচিতেও ডাকে না। দল তাঁকে বাতিলের খাতায় রেখে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এইভাবে বেশি দিন দল করা যায় না। তাই দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। অবশ্য দল ছাড়লেও বিপ্লব সকালেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজনীতি না ছাড়ার। তিনি বলেন, আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি। যা আমার কাছে খুবই দুঃখের। আমি ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তবে আমি দল ছাড়লেও রাজনীতি ছাড়ছি না। এরপরই বিজেপিতে তাঁর যোগদান নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়ে যায়। এই বিতর্কের মাঝেই বিকেলে তাঁকে দেখা গেল বিজেপির মঞ্চে শুভেন্দুর পাশে বসে থাকতে।
আরও পড়ুন:Leopard Attack: অসমের জোড়হাটে চিতাবাঘের হানায় ৩ বনকর্মী সহ আহত ১৩
আগামী বছরই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বীরভূমে অনুব্রত ঘনিষ্ঠর বিজেপিতে যোগদান তৃণমূলকে অনেকটাই চাপে ফেলে দিল বলে মনে করছেন অনেকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিপ্লব যেহেতু জেলা পরিষদের দায়িত্বে ছিলেন, তাই জেলাজুড়ে তাঁর পরিচতিও অনেক বেশি। তাছাড়া অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সংগঠনের কাজেও তাঁকে কাজে লাগাতে পারবে গেরুয়া শিবির। বিজেপির একটি অংশের মতে, জেলায় পঞ্চায়েত ভোটে বিপ্লবকে ভালোভাবে ব্যবহার করা যাবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে দলে আনা বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের আরও বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলে মনে করছে বিজেপির ওই অংশ। এদিনই দুবরাজপুরের শিবঠাকুর মামলায় আদালত অনুব্রতর জামিন মঞ্জুর করেছে। বিকেল থেকে ফের তাঁর ঠাঁই হয়েছে আসানসোলের সংশোধনাগারে।