কলকাতা: ইডি ও সিবিআই আধিকারিকদের ফের তলব করল বিধানসভা। আগামী ৪ অক্টোবর বেলা একটায় সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হল ওই দুই আধিকারিকদের। সম্প্রতি নারদ কান্ডে চার্জশিটে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর নাম নথিভুক্ত করার কারণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই আধিকারিককে তলব করেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল বুধবার বিধানসভায় সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু বিধানসভায় হাজিরা দেওয়ার পরিবর্তে বিধানসভার সচিবালয় চিঠি পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে। কেন্দ্রীয় সংস্থা দুটির থেকে এই ধরনের প্রতুত্তর পাওয়ায় সন্তুষ্ট হননি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর এই ঘটনার পর তাঁদের ফের তলব করা হতে পারে বলে জল্পনা চলছিল। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই সম্ভাবনা সত্যি হল। বিধানসভা সূত্রে খবর, সিবিআই আধিকারিক সত্যেন্দ্র সিং ও ইডি আধিকারিক রথীন বিশ্বাসকে ফের তলব করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: চিঠিতে সন্তুষ্ট নন, ফের ডাকা হতে পারে ইডি-সিবিআই আধিকারিকদের
উল্লেখ্য, বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি না নিয়ে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমের নাম নারদ চার্জশিটভুক্ত করে সিবিআই। যা সম্পূর্ণ আইন বিরুদ্ধ ও বিধানসভাকে মর্যাদাহানি করছে বলে দাবি করে রাজ্যের শাসক দল। এই ইস্যুতেই গত বুধবার সংশ্লিষ্ট সংস্থার দুই আধিকারিককে ডেকে পাঠিয়েছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সশরীরে হাজির না থেকে চিঠি পাঠিয়ে দায় সারে কেন্দ্রীয় সংস্থা দুটি। যা থেকে রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থা দুটির সংঘাত শুরু হয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও সিবিআইয়ের যুক্তি, নিয়ম মেনেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সম্মতি রয়েছে বলেও জানানো হয় সংস্থা দুটির তরফে।
আরও পড়ুন: নারদ মামলায় বিধানসভায় গরহাজির, স্পিকারকে পাল্টা চিঠি ইডি-সিবিআইয়ের
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নারদ কাণ্ডের প্রেক্ষিতেই এই চার্জশিত প্রস্তুত করে তদন্তকারী সংস্থা দুটি। চার্জশিটে দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও নাম রয়েছে মদন মিত্র ও প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। বিধানসভা ভোটের পর ওই চার নেতাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা দুটি। বর্তমানে মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারাধীন।