জলপাইগুড়ি: ঝড়ে আহতদের দেখতে সোমবার জলপাইগুড়িতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ রাজ্যপালের আসার কথা জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ঝড়ের তাণ্ডবে আহতদের খোঁজ খবর নেওয়ার পর তিনি যাবেন ময়নাগুড়ি বার্ণিশ গ্রামে। সেখানে গ্রামের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কথা রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি মৃত ৫ জনের বাড়িতেও যাবেন তিনি। রজ্যপাল আসছেন সে কারণেই পুলিশের পক্ষ থেকে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছে পুলিশের একটি দল। রাজ্যপালের পর জলপাইগুড়িতে আশার কথা রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনিও আহতদের সঙ্গে দেখা করে ময়নাগুড়ি বার্ণিশ গ্রামেও যাবেন বলে বিজেপি সুত্রে খবর।
রবিবার রাতেই সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রাত সাড়ে ১০টায় বাগডোগরা বিমানবন্দরে তিনি পৌঁছে দলসপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান তিনি। রাত জেগে জলপাইগুড়ির পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গেও কথা বলেন। জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ির যে যে এলাকা রবিবারের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে সব জায়গায় রাতেই গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখেন নিজে। তাঁর হোটেলে ফিরতে রাত আড়াইটে বেজে যায়। আপাতত মালবাজারের চালসার একটি হোটেলে আছেন মমতা।
আরও পড়ুন: রাতেই জলপাইগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী, সোমে যাচ্ছেন রাজ্যপাল
এদিকে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজভবন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশে রাজভবনে খোলা হয়েছে এমার্জেন্সি সেল। রাজ্যপালের এডিসি মেজর নিখিল কুমারকে এই সেলের নোডাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার জলপাইগুড়িতে ঝড়ে দাপটে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। জলপাইগুড়ির একাধিক জায়গায় ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। রবিবার দুপুরে খানিক সময়ের ঝড়ে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের একাধিক এলাকায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। রাস্তার পাশে থাকা একাধিক গাছ ভেঙে পড়ে। গাছের ডালে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৪ জনের। পরে রাতে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। অন্যদিকে দোকান ও বিভিন্ন বাড়ির ঘরের টিনের চালও উড়ে যায় ঝড়ে। প্রাণ হাতে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন পথ চলতি স্থানীয়রা।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: