পাঁশকুড়া: জাতীয়স্তরের রাজনীতির ছোঁয়া গ্রাম বাংলায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) পাঁশকুড়া ব্লকে দুটি অঞ্চল বিজেপি পেলেও বোর্ড গঠনে বিজেপি প্রার্থীদের ভাঙিয়ে নিতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস এমনটাই অভিযোগ। তাই ভয়ে দুটি অঞ্চলের ২২ জন বিজেপির জয়ী প্রার্থী ভিন রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে।
বিধায়কদের দলবদল এরাজ্য়ে নতুন নয়। এর আগেও টাকার বিনিময় বিধায়ক ভাঙানোর অভিযোগ উঠেছিল। তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিরুদ্ধে সিপিএমের বিধায়ক ভাঙানোর অভিযোগ উঠেছিল। এবার পঞ্চায়েত ভোট শেষ হলেও জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে চিন্তা বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে। পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চল এবং মাইসোরা অঞ্চলে জয়লাভ করে বিজেপি। আর তারপরেই প্রার্থী ভাঙানোর গুরুতর অভিযোগ পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থীদের। ভোট গণনা শেষ হতেই তৃণমূলের কাছ থেকে আসছে দলে যোগদান করলেই মিলবে লক্ষ লক্ষ টাকা। আর তার মধ্যস্থতা করছেন তারই বিজেপি দলের জেলা সভাপতি তপন ব্যানার্জি, জেলা কোষাধ্যক্ষ জগদীশ প্রামাণিক ও জেলা নেতৃত্বরা।এমনই গুরুতর অভিযোগ করেন বিজেপি জয়ী প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | ভোট মিটলেও বিরাম নেই বোমা উদ্ধারে
জয়ী প্রার্থীদের দাবি, তাদের প্রলভন দেখানো হয়েছে তৃণমূলে যোগদান করলে মিলবে প্রধান ও উপপ্রধানের পদ। তাই বাধ্য হয়ে তারা নিজেদের দল বাঁচাতে ও অঞ্চল গড়ার লক্ষ্যে বাড়ি ছেড়ে ভিন রাজ্যে ঠাঁই নিয়েছেন। কারণ তারা মনে করছেন বাড়ি গেলেই তাদের উপর চাপ দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হবে। এবং তৃণমূল অঞ্চল গঠন করবে। তাই দুই অঞ্চলের মোট ২২ জন জেতা প্রাথী সহ ইতিমধ্যে ভিনরাজ্যে ২৫ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
বিজেপির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা সৌমেন মহাপাত্রের (Saumen Mahapatra) দাবি, এটা বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিষয়। এদের দলের মধ্যে আদি ও নব্য দ্বন্দ্ব নির্বাচনের আগের থেকেই ছিল, এখনও সেচা অব্যাহত। কোনও জায়গায় সংখ্যাগরিষ্ঠা থাকার সত্ত্বেও তাদের সেই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। নিজেদের দলের কোন্দল ঢাকতেই দায় তৃণমূলের ঘাড়ে চাপাচ্ছে। আজ পর্যন্ত তৃণমূল কোনও দলের ঘোড়া কেনাবেচা করেনি।