কৃষ্ণনগর: শুক্রবার আরামবাগের পর শনিবার কৃষ্ণনগরের সভা থেকেও তৃণমূলকে তোলাবাজ, দুর্নীতিবাজ, অত্যাচারী, পরিবারবাদী বলে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার আরামবাগের সভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে লোকসভা ভোটে ৪২ এর মধ্যে ৪২টি আসন বিজেপি পাবে বলে দাবি করেন মোদি। এদিন কৃষ্ণনগরের সভাতেও তাঁর দাবি, ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে হবে। তাঁর স্লোগান, এবার এনডিএ চারশো পার। এদিনও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ উঠেছে। তবে তাতপর্যের বিষয় হল, দুর্নীতি প্রসঙ্গে একবারও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম মুখে আনেননি।
গতকাল আরামবাগের সভায় তবু মোদির মুখে দুই একবার মুখ্যমন্ত্রী দিদির কথা শোনা গিয়েছিল। এদিন কৃষ্ণনগরে তাও শোনা যায়নি। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসে মোদি দিদি ও দিদি বলে বারবার মমতাকে কটাক্ষ করেছিলেন। তা নিয়ে তৃণমূল তাঁকে আক্রমণও করেছিলেন। তৃণমূলের আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য শুক্রবার বলেছিলেন, বিধানসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিদি বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন। এবার তিনি মমতাকে ভয় পাচ্ছেন। তাই মোদি মুখ্যমন্ত্রীর নাম করেননি।
আরও পড়ুন: কল্যাণীর এইমস আটকাতে সচেষ্ট ছিল তৃণমূল, অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী
এদিন কৃষ্ণনগরে মোদি বলেন, তৃণমূল সরকার সমস্ত স্কিমকে স্ক্যামে পরিণত করেছে। সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম রাজ্য সরকারের নামে করছে তৃণমূল। তাঁর অভিযোগ, টিএমসি মানেই তু ম্যায় আর কোরাপশন। রেশন, নিয়োগ, একশো দিনের কাজ, সবেতেই শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি। সব কিছুতেই তোলাবাজি আর লুঠ। এই পরিস্থিতির বদল ঘটাতেই হবে। তার জন্য জনতার সাহায্য চাই। তিনি বলেন, তৃণমূল দলটাই পরিবারবাদে বিশ্বাসী। বাংলার মানুষ অনেক ভরসা করে তৃণমূলকে খমতায় এনেছিল। কিন্তু এই সরকার মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তৃণমূলের অত্যাচারে মানুষ আজ জর্জরিত। মা মাটি মানুষ আজ তৃণমূলের কুশাসনের কোপে পরে কাঁদছে। সন্দেশখালিতে মা-বোনেদের উপর অত্যাচার হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তৃণমূল দলও চায়নি, অভিযুক্তরা ধরা পড়ুক। মহিলাদের আন্দোলনের চাপে পরে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।
দেখুন আরও অন্য়ান্য খবর: