বহরমপুর: মুর্শিদাবাদে পাঁচটি ব্লক বাদ দিয়ে সমস্ত ব্লকে জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল। একই সঙ্গে মনোনয়ন পেশ করাও শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। কান্দি, ভরতপুর -১ এবং ২ ব্লক, নওদা এবং সাগরদিঘি ব্লক কেন বাদ রাখা হল তা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।সূত্রের খবর, প্রার্থী নিয়ে শাসক দলের ভিতরে তুমুল টানাপোড়েন চলছে। সেই কারণেই ওই পাঁচ ব্লকে জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি তৃণমূল।
এদিকে জেলা পরিষদের বিদায়ী সহ-সভাধিপতি ঝর্ণা দাসকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। তা নিয়েও দলের ভিতরে বাইরে নানা জল্পনা চলছে।বিরোধীরা অবশ্য এ ব্যাপারে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের সংস্কৃতিই হল,’পয়সা ফেকো, তামাশা দেখো।’ এদিন বহরমপুরে মহকুমা শাসকের দফতরে জেলা পরিষদ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামসূজ্জোহা বিশ্বাস। তিনি বলেন, সহ- সভাধিপতি কেন টিকিট পেলেন না সেটা দল জানে।কে টিকিট পাবে, কে পাবে না, তা নিয়ে আমার কথা বলার এক্তিয়ার নেই। দল যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে। বিদায়ী সভাপতির হরিহরপাড়ার আসনটি ওবিসি হয়ে যাওয়ায় তিনি এবার অন্য আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | মঙ্গলকোর্টে তৃণমূল বিধায়কের উপস্থিতিতে চললো শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন দাখিল
গত কয়েকমাস ধরে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া হিড়িক চলছে। প্রায় রোজই জেলার কোনও না কোনও প্রান্তে শ’য়ে শ’য়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। এতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কংগ্রেস এককালের দুর্গ মুর্শিদাবাদের নতুন করে শক্তি ফিরে পাচ্ছে। অধীর বেশ কয়েকদিন ধরেই বলে আসছেন, এবার এই জেলায় মানুষ শান্তিতে ও অবাধে ভোট দিতে পারলে মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। তাঁর দাবি, যে হরে তৃণমূল ছেড়ে রোজই লোকজন কংগ্রেসে আসছে, তাতেই বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূল জেলায় ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণত হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা আরও দাবি করেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের আরও বড় ভাঙন হবে।