মেদিনীপুর: কালনার (Kalna) পর এবার মেদিনীপুর পুরসভা (midnapore municipality)। চেয়ারম্যান সৌমেন খানের (Chairman Soumen Khan) বিরুদ্ধে কার্যত অনাস্থা প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার পুরসভার (municipality) সামনে অবস্থানে বসেন তৃণমূলেরই ১১জন কাউন্সিলর (trinamool councillor)। পুরসভার প্রধান ফটক আটকে তাঁরা সকাল থেকে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের এই অবস্থান চলবে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তাঁদের একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এই পুরসভায় ২৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল (TMC) একাই পায় ২০টি। সিপিএম(CPM) তিনটি, কংগ্রেস(Congress) এবং নির্দল(independent) একটি করে আসন পায়। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে তৃণমূল বোর্ড গঠন(tmc board) করে। চেয়ারম্যান হন সৌমেন। বোর্ড গঠনের পর থেকেই পুরসভায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল (TMC internal clash) শুরু হয়ে যায়। দিন কয়েক আগেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) দফতরে চিঠি দেন ১১জন কাউন্সিলর। দলের রাজ্য নেতৃত্বে তাঁদের বুঝিয়ে শান্ত করেন। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সেই ১১জন কাউন্সিলর এবার অবস্থানে বসে পড়লেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: Kalna Municipality: কালনা পুরসভায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ তৃণমূল কাউন্সিলরের অভিযোগ ঘিরে আলোড়ন
গত ৫ ডিসেম্বর পুরসভায় শ্রমিক ধর্মঘট (worker’s strike) চলাকালীন সাফাইকর্মীদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। মেদিনীপুর পুরসভা সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়ন (Sangrami Shramik Union) তার জন্য দায়ী করেন ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপি বিষইকে। ইউনিয়ন লিপির বিরুদ্ধে এসসি, এসটি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। ইউনিয়নও অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, ওই ঘটনার পিছনে চেয়ারম্যানের মদত আছে। এদিন কাউন্সিলররা রীতিমতো তৃণমূলের পতাকা নিয়ে পুরসভার গেটের সামনে বসে পড়েন।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে উদ্ধার ১১টি তাজা বোমা ও সরঞ্জাম
বুধবারই কালনা পুরসভার(Kalna municipality) ১২জন তৃণমূল কাউন্সিলর চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন সাংবাদিকদের কাছে। তাঁরা বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা দলীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানালাম। এর পর নেতৃত্ব কোনও ব্যবস্থা না নিলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ করতে বাধ্য হব।