জলপাইগুড়ি: নবগঠিত ধূপগুড়ি (Dhupguri) মহকুমার মহকুমা শাসক (SDO) হিসেবে নিযুক্ত হলেন জলপাইগুড়ি সদর মহকুমা শাসক তমজিৎ চক্রবর্তী (Tamajit Chakraborty)। ফলে মহকুমা হিসেবে প্রশাসনিক যাত্রাও শুরু হয়ে গেল ধূপগুড়ি। এই ঘটনায় যারপরনাই খুশি এলেকাবাসী। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি জেলায় ১৯ জানুয়ারি থেকে তিনটি মহকুমা। যার মধ্যে জলপাইগুড়ি সদর মহকুমায় রয়েছে কোতোয়ালি, ময়নাগুড়ি, রাজগঞ্জ, নিউ জলপাইগুড়ি এবং ভক্তিনগর থানা এলাকা। ধূপগুড়ি মহকুমায় থাকছে ধূপগুড়ি এবং বানারহাট থানা এলাকা। মালবাজার মহকুমায় থাকছে মালবাজার, মেটেলি এবং নাগরাকাটা থানা।
এদিকে এই মহকুমা হওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ দেখে খুশি ধূপগুড়ি মহকুমার দাবিতে আন্দোলনরত ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ।সংগঠনের তরফে অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন, আমরা খুব খুশি।এই জয় ধূপগুড়িবাসীর। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।অনেকেই অনেকরকম বিদ্রুপ করেছিলেন আমাদের আন্দোলন নিয়ে। তারপর আজকের দিনটা সত্যিই আনন্দের। আমরা পথের মানুষ, আমাদের এই জয়ে উল্লাস হচ্ছে। তবে সরকারের কাছে অনুরোধ মহকুমা হাসপাতাল হিসেবে হাসপাতালের পরিষেবাটা তাড়াতাড়ি শুরু করা হোক। ধূপগুড়ি মহকুমার প্রস্তাবিত এলাকা ছিল -৫৬১ বর্গ কিমি।
আরও পড়ুন: কেন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ কাঁথির পুর প্রধান? জেনে নিন
মহকুমার দাবিতে প্রস্তাবিত ব্লক ছিল- ধূপগুড়ি, বানারহাট। ধূপগুড়ি ব্লকের জনসংখ্যা- প্রায় ৪ লক্ষের বেশি। ধূপগুড়ি পুরসভা-প্রায় ৪৭ হাজার। বানারহাট ব্লকের জনসংখ্যা -৩.৫ লক্ষের বেশি। থানা- ধূপগুড়ি এবং বানারহাট পুলিশ ফাঁড়ি-বিন্নাগুড়ি, চাম্মুর্চি। চাম্মুর্চি থেকে জলপাইগুড়ি মহকুমার দূরত্ব প্রায় ৭২ কিমি। চাম্মুর্চি এবং বানারহাট থেকে ধূপগুড়ির দূরত্ব যথাক্রমে ২০ কিমি, ৩৫ কিমি। সেচ দফতরের বাংলো -বানারহাট। মহকুমা সেচ আধিকারিক কার্য্যালয়-বানারহাট, ধূপগুড়ি। আর্ন্তজাতিক সীমানা-ভারত-ভূটান সীমান্ত(চাম্মুর্চি)। বানারহাট ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েত-৭ টি। ধূপগুড়ি ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েত -৯ টি। গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল -ধূপগুড়ি গ্রামীন হাসপাতাল,বানারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এছাড়া বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্য কেন্দ্র। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্যালয়- ধুপগুড়িতে। দমকল কেন্দ্র-১ টি,ধূপগুড়িতে। কৃষি দফতর- ধূপগুড়ি। ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতর- ধূপগুড়ি।
আরও খবর দেখুন