নয়াদিল্লি: জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধু নতুন নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হলেন। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে নির্বাচন কমিশনারের দুটি শূন্য পদে নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক বসে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ওই কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আগে এই কমিটিতে ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি। কেন্দ্র আইন করে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেয়।
গত মাসে কমিশনার হিসেবে অবসর নেন অনুপ চন্দ্র পাণ্ডে। তাঁর জায়গায় নতুন কমিশনার নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটির বৈঠক ডাকা ছিল ১৫ মার্চ। কিন্তু গত শনিবার আচমকাই আর এক কমিশনার পদে ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। ফলে কমিশনের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় একে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ছাড়া আর কোনও সদস্য ছিলেন না কমিশনে। এদিকে সামনেই লোকসভা ভোট। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের একার পক্ষে ভোট পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সরকারি সূত্রের খবর, তার জন্যই তড়িঘড়ি কমিটির বৈঠক ডেকে বাকি দুই কমিশনার নিয়োগ করা হল এদিন। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, এখন যে কোনও মুহূর্তে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। আজকালের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি হলে তখন থেকেই আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যাবে। দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও বাংলায় কিন্তু পুরোদমে ভোটের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল ছাড়া আর কোনও রাজনৈতিক দলই এখনও পর্যন্ত সব কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। কিন্তু তাতে প্রচার থেমে নেই। নাম বাদ রেখেই দেওয়াল লিখন চলছে।
আরও পড়ুন: ফের ফুল বদল, বিজেপিতেই যাচ্ছেন অর্জুন, জানালেন নিজেই
এদিকে এই বৈঠকে যাতে বৃহস্পতিবার কমিশনার নিয়োগ না হয়, তার জন্য সোমবার সুপ্রিম কোর্টে যান মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর। বুধবার মামলাটি বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে ওঠে। তিনি জানান, শুনানি হবে শুক্রবার। তার আগেই এদিন দুই কমিশনার নিয়োগ হয়ে যাওয়ায় ওই মামলার আর কোনও গুরুত্ব রইল না বলে মনে করছে আইনি মহল।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: