কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির মতো সিবিআইয়ের রিপোর্টেও অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট। বুধবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। সিবিআইয়ের ওই রিপোর্টে খুশি নন বিচারপতি। এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, রিপোর্টে নতুন কিছু নেই। তদন্তে অগ্রগতি কোথায়? কী তদন্ত করছেন? আর কতদিন ধরে তদন্ত করবেন? কবে শেষ হবে আপনাদের তদন্ত?
এর প্রেক্ষিতে বিচারপতিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, অভিষেক-কুন্তলের চিঠি সম্পর্কিত তদন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ হয়েছে। জেলের সিসিটিভি ফুটেজ আদালতের কাছে রয়েছে। সেটা না পেলে তদন্ত শেষ করা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে ২ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ইডির আইনজীবী ধীরাজ দ্বিবেদী আদালতকে বলেন, এখনও পর্যন্ত ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতির সন্ধান আমরা পেয়েছি। বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, আপনাদের আধিকারিকরা তদন্তে দক্ষ তো? ইডির আইনজীবী বলেন, নিশ্চয়ই।
আরও পড়ুন: IIT Kharagpur | আইআইটি ছাত্র মৃত্যু, এবার জয়রামণের নেতৃত্বে তদন্ত
সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, প্রথমে কুন্তল ঘোষকে জেলের যে কক্ষে রাখা হয়েছিল, সেখানে কোনও সিসিটিভি ছিল না। পরে যেখানে স্থানান্তর করা হয় সেখানে সিসিটিভি ছিল।
এরপর আদালতের নির্দেশ, জেলে কুন্তল ঘোষের উপর নজর রাখবেন জেল সুপার। পাশপাশি কুন্তলের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করবেন জেল সুপার। আদালত চাইলে সেই ফুটেজ পেশ করতে হবে। একমাস পরে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করবে ইডি।