মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া : নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে রমরমিয়ে চলছে জাল নোট পাচারের কারবার। শুধু ডিসেম্বর মাসেই এসটিএফের তল্লাশি অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে ১৬ জন পাচারকারী।
এসটিএফের কড়া নজরদারিকে ফাঁকি দিয়ে চলছিল জাল নোট পাচার। স্থানীয় সূত্রের খবর, নদিয়ার সীমান্তবর্তী বাজারগুলিকে টার্গেট করছে পাচারকারীরা। গোয়েন্দাদের নিরন্তর নজরদারির জেরে পাচারকারীরা মুর্শিদাবাদ ছেড়ে নদিয়ার বাংলাদেশ সীমান্তে ঘাঁটি গেড়েছে।
সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ ও মালদহের বৈষ্ণবনগর হয়ে জাল নোট সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে নদিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায়। সেখান থেকে সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলিতে ওই নোট ছড়িয়ে দিচ্ছে পাচারকারীরা। মুর্শিদাবাদে এসটিএফের তৎপরতায় গ্রেফতার হয়েছে নদিয়ার বেশ কয়েক জন পাচারকারী। উদ্ধার রয়েছে বিপুল অঙ্কের জাল নোট। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জাল নোট পাচারের তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
রাজ্য এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই তাদের কড়া নজরদারির আওতায় রয়েছে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন বাজার। এর জেরে অসুবিধায় পড়েছে পাচারকারীরা। তাই জায়গা বদল। মালদহের বৈষ্ণবনগর থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে জাল নোট পৌঁছে যাচ্ছে নদিয়ায় বিভিন্ন প্রান্তে। সেই নোট আসল নোটের সঙ্গে মিলিয়ে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডিসেম্বর মাসে বৈষ্ণবনগর থেকে নদিয়ায় জাল নোট নিয়ে আসতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে মোট চারটি পাচারকারী দল। প্রচুর পরিমাণে জাল টাকাও উদ্ধার হয়েছে।
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নদিয়ার বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন করিমপুরে এক ব্যবসায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় ত্রিশ হাজার টাকা নগদ জমা করতে যান। তাঁর পাঁচশো টাকার নোটের মধ্যে দু’টি নোট জাল ছিল। ব্যক্তিগত পরিচিতির কারণে নোট দু’টিকে বাতিল করে ওই ব্যবসায়ীকে সতর্ক করেন ব্যাঙ্ক। তবে এটা কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। ডিসেম্বর মাসে নদিয়ার কল্যাণীতেও ধরা পড়েছে জাল নোট। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সক্রিয় হন রাজ্যের গোয়েন্দারা।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা সুপার আনন্দ রায় বলেন, কয়েকজন জাল নোট পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই নদিয়ার বাসিন্দা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও অন্য খবর দেখুন
https://kolkatatvonline.in/west-bengal/2-tourists-went-down-to-bathe-bankura-kolkatatv-online/