মালদা: রেললাইন (Railline) থেকে উদ্ধার যুবকের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহ (Body)। গ্রামের জলসার আসর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে আরপিএফ এবং স্থানীয় পুলিশ (Police)। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে ওই যুবকের গণ্ডগোল ছিল। স্ত্রীর অশ্লীল ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কিছুদিন আগে ওই যুবক জেলও খাটে। শ্বশুরবাড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে রেল লাইনে যুবকের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার নিয়ে আরও জোড়ালো খুনের জল্পনা। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার (Harishchandrapur PS) অন্তর্গত কনকনিয়া রেল গেটের পাশের ঘটনা।
রবিবার সকালে স্থানীয়দের এই দেহ নজরে আসতেই খোঁজ দেওয়া হয় রেল পুলিশ এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম কাজিরুল ইসলাম (২৫)। বাড়ি ওই এলাকারই কাতলামারী গ্রামে। মৃতের পরিবারের লোকের অভিযোগ, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জলসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। মৃতের পরিবারের লোকের দাবি, গতকাল রাতে কাজিরুল টেটিয়া গ্রামে জলসা দেখতে এসেছিল। সেই গ্রামে রয়েছে তাঁর স্ত্রী জাসমিনারা খাতুনের এক আত্মীয়ের বাড়ি। জলসা থেকে তাঁকে জাসমিনারার মামা এবং মেসো তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তারপর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সকলে মিলে তাকে খুন করে রেললাইনে ফেলে দেয়।
আরও পড়ুন: নকল সোনার গহনা বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের জালে চার
কাজিরুলের পরিবারের দাবি, তাঁর স্ত্রীর অন্যত্র সম্পর্ক ছিল। এই নিয়েই বিবাদ চলছিল। তাঁর স্ত্রী বাবার বাড়িতেই থাকতো। এর আগেও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কাজিরুলকে মারধর করেছে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। এক মাস জেল খাটতে হয়েছিল কাজিরুলকে। যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর কুমেদপুর গ্রামের জাসমিনারা খাতুনের সঙ্গে কাজিরুলের বিয়ে হয় দুই বছর আগে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। তাই শ্বশুর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে বিবাদ লেগে থাকত কাজিরুলের। তাঁর স্ত্রী তাঁর বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়েছিল। এমনকী ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও কাজিরুল সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দিয়েছিল। সেই অভিযোগেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল তাঁর স্ত্রী। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
আরও খবর দেখুন