বাঁকুড়া: মনে রাখবেন সিঙ্গুর (Singur), নন্দীগ্রাম (Nandigram), খাতরা (Khatra) এবং বিষ্ণুপুর (Bishnupur) সব জায়গায় আলাদা মুখ আছে। একে অপরের সঙ্গে তুলনা করে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা। আমি কোথাও রক্তপাত বা অত্যাচার চাই না। যাঁরা বড় বড় দাবি করছেন, আমি তাঁদের জিজ্ঞেস করি, আপনাদের ভান্ডার খুলব? সেখানে আমার অনেক কিছু আছে। আমি কখনওই জেনেশুনে কোনও অন্যায়কে সমর্থন করি না। যদি অজান্তে কিছু হয়ে থাকে, আমি সেটা সমর্থন করি না এবং মানুষকে সবরকম সাহায্য করি। মানুষকে সাহায্য করা আমার কাজ। বুধবার বাঁকুড়ার সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এমনই মন্তব্য করলেন। উল্লেখ্য, এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) সন্দেশখালিকে দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম বলে তুলনা করেছিলেন। মনে করা হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন প্রতিটা ঘটনা আলাদা। তুলনা করা ঠিক নয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, আগে জঙ্গলমহলকে রক্তাক্ত হতে দেখা যেত। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এখানকার মানুষ শান্তিতে বসবাস করছেন। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের সমস্ত তহবিল বন্ধ করে দিয়েছে। তারা বাংলা থেকে টাকা সংগ্রহ করে কিন্তু আমাদের ন্যায্য অংশ দেয় না। যারা বাংলাকে বঞ্চিত করেছে, অপমান করেছে, নির্যাতন করেছে, আসুন, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই। অন্যরা যা পারে না, বাংলা পারে। এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায় রয়েছে এবং সকলেরই তাদের আচার-অনুষ্ঠান রয়েছে – হোক তা আদিবাসী, হিন্দু, মুসলমান বা তফসিলি। তিনি এদিন আরও বলেন, একটি অভিন্ন সিভিল কোড আইন আনতে চাওয়া হচ্ছে – তাতে সবার জন্য এক নিয়ম। মেয়েরা কি ইউনিফর্ম পরে স্কুলে যাবে সে বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কৃষকরা নিপীড়িত হচ্ছেন এবং এনআইএ-এর অধীনে জড়িয়ে পড়ছেন। যারা কৃষককে বুলেট মেরেছে তারা এখন কৃষকদের কথা বলছে। নির্বাচনের আগে তারা অনেক জায়গায় ষড়যন্ত্র করে। শুধুমাত্র যারা কাজ করে তাদের টার্গেট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা ও ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগেই হিমাচল প্রদেশে সরকারের পতন?
আরও খবর দেখুন