নয়াদিল্লি: রামপুরহাট হিংসায় (Rampurhat Violence) আগেই স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ( National Human Rights Commission)। বৃহস্পতিবার কমিশনের চেয়ারপার্সন, বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) অরুণ মিশ্র এ কথা জানান। এবার এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চাইল কমিশন। চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জৈমিনি কুমার শ্রীবাস্তব বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে হিংসার ঘটনায় কমিশন মুখ্যসচিব এবং পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেলের মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে। আমরা তাদের কাছ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছি।’
এর আগে রামপুরহাট হিংসায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছিল জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। বীরভূমের পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে বুধবার চিঠি দিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট চায় কমিশন। সেই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্যকেও।
আরও পড়ুন: Anarul Hossain: গ্রেফতার হতেই ব্লক সভাপতির পদ থেকে আনারুলকে সরিয়ে দিল তৃণমূল
কমিশন চিঠিতে লেখে, রাজ্যে শাসকদলের মদতে যে সামাজিক রাজনৈতিক গৃহযুদ্ধ হয়েছে বীরভূমের গ্রামে তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নাবালক ও মহিলাদের। কমিশন বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে আগামী ৩ দিনের মধ্যে জেলার পুলিস সুপারকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয় কমিশন।
সোমবার রাতে বীরভূমের বগটুই মোড়ে খুন হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু সেখ৷ তাঁর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বগটুই গ্রামে তাণ্ডব চালায় একদল যুবক৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি বাড়িতে৷ সেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ৭ জনের৷ নিহতদের অধিকাংশ মহিলা ও শিশু৷ এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই চরমে ওঠে রাজনৈতিক চাপানউতর৷
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে একসুরে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করছে বিরোধীরা৷ ঘটনার নিন্দায় বুধবার মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বগটুইয়ের ঘটনাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে মন্তব্য করেন৷ পাশাপাশি তদন্তে রাজ্যকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন৷
আরও পড়ুন: Rampurhat Violence: মমতার নির্দেশের পরই নিরাপত্তা বাড়ল বগটুইয়ে, গ্রামে টহল ডিজির