দিনহাটা: বিজেপি নেতা প্রশান্ত বসুনিয়াকে মন্ত্রী উদয়ন গুহের মদতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। এমনটাই অভিযোগ করলেন জাতীয় এসটিএসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। সোমবার তিনি ওই ঘটনার তদন্তে প্রশান্তর বাড়িতে যান।পরে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক তফসিলি জাতি উপজাতি কিংবা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন খুন হচ্ছেন। অথচ রাজ্য সরকার হাত গুটিয়ে বসে আছে। এদিন ঘটনাস্থলে জেলাশাসক কিংবা পুলিশ সুপার উপস্থিত না থাকায় ভাইস চেয়ারম্যান ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এতবড় একটা ঘটনার তদন্তে এসেছি। শুধুমাত্র দিনহাটা থানার আইসি হাজির। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার কেউ নেই।আমি তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে পারি। প্রসঙ্গত, এর আগে কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুন এবং এক বিজেপি কর্মীর গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্তে গিয়েও তিনি জেলা শাসক বা পুলিশ সুপারের দেখা না পেয়ে একই ভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
এদিকে, জাতীয় এসটিএসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যানের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন উত্তরঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন। তিনি বলেন, অরুণ হালদারকে প্রমান করতে হবে আমার মদতে প্রশান্ত বসুনিয়া খুন হয়েছেন।নাহলে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। ওই ভাইস চেয়ারম্যান একজন বিজেপি নেতার মতো কথা বলছেন। অরুণ হালদার ভুলে গিয়েছেন যে, তিনি একজন সরকারি সংস্থার কর্মকর্তা। বিজেপির কোনও নেতা নন।
আরও পড়ুন: Odisha | Coromandel Express | বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছে সিবিআই, বাতিল দূরপাল্লার ট্রেন
প্রশান্ত খুনের ঘটনা নিয়ে দিনহাটায় তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর চলছে।বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের হুমকিতে প্রশান্ত দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া ছিলেন। সম্প্রতি তিনি দিল্লি থেকে দিনহাটায় ফেরেন। দিনেদুপুরে কার্যত মায়ের সামনে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে প্রশান্তকে খুন করে যায়। কোচবিহারের বিজেপি নেতা মিহির গোস্বামী বলেন, চারদিন হয়েগেল এখনও পর্যন্ত এই খুনের সঙ্গে জড়িত কাউকে পুলিশ আটক কিনা গ্রেফতারই করতে পারল না।উদয়নের পাল্টা দাবি, প্রশান্তর বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের অভিযোগ ছিল। তিনি এর আগে তৃণমূল কর্মীদের মারধরেও অভিযুক্ত ছিলেন।মন্ত্রী বলেন, এই খুনের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির অন্তর দ্বন্দ্ব কারণেই প্রশান্ত খুন হন