কলকাতা: নিমতা কাণ্ডে বাকি ২০ লক্ষ টাকার খোঁজে পুলিশ। সূত্রের খবর, ৫০ লক্ষ টাকার হদিশ পেতে মরিয়া গোয়েন্দারা। ধৃত মাস্টারমাইন্ড অনির্বান গুপ্ত কোথায় সেই টাকা রেখেছে, তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিহত ওই ব্যবসায়ীকে ভুয়ো মেল মারফত টাকা নেওয়া হয়েছিল অ্যাকাউন্টে। জানা গিয়েছে, দফায় দফায় ২০ লক্ষ টাকা গিয়েছিল ধৃত অনির্বানের এক বান্ধবীর হাতে। ১০ লক্ষ টাকা এসেছিল অনির্বানের অ্যাকাউন্টে। বাকি ২০ লক্ষ টাকার খোঁজ করছে পুলিশ।
শহরে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে খুন। মৃতের নাম ভাবো লাখানি (Bhavo Lakhani)। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নিমতার (Nimta) একটি বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার তাঁর ক্ষত, বিক্ষত দেহ। গত ১১ মার্চ সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। নিমতা থানা এলাকায় একটি বাড়ির জলের ট্যাঙ্কের পাশে ব্যবসায়ীর দেহ বস্তাবন্দি করে পুঁতে রাখা হয়েছিল। তার উপর তুলে দেওয়া হয়েছিল পাঁচিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এই খুন। পাওনা টাকা দেওয়ার নাম করে ব্যবসায়ীকে বাড়িতে ডেকে মাথায় উইকেট দিয়ে বাড়ি মেরে খুন করা হয়। পরে জলের ট্যাঙ্কের নীচে দেহ ঢুকিয়ে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: কলকাতার ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার নিমতায়
ওই ব্যবসায়ী কলকাতার ভবানীপুরের বাসিন্দা। তাঁর পরিবার অভিযোগ করে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। তদন্তে নেমে রবীন্দ্রপল্লীতে ভাবিয়ার ব্যবসায়িক সঙ্গীর বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার। ব্যবসায়িক সঙ্গী অনির্বাণ গুপ্তকে গ্রেফতার করেছে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে জ্ঞান হারিয়ে ফেললেও মৃত্যু নিশ্চিত করতে একের পর এক আঘাত করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ২১ লক্ষ টাকা ওই ব্যসায়ী পেতেন ধৃত অনির্বাণের কাছ থেকে। পরিকল্পনামাফিক খুন কি না জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: