আরামবাগ: শুক্রবার হুগলির আরামবাগের জনসভায় থেকে সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এদিন জনসভা থেকে মোদি বলেন, তৃণমূল সন্দেশথালির বোনেদের সঙ্গে যা করেছে গোটা দেশ দেখতে পাচ্ছে। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তাতে দেশ দুঃখিত। সন্দেশখালি মমতার থেকে সাহায্য চেয়েছিল। সন্দেশখালির নেতাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল তৃণমূল বলেও দাবি করেন মোদি।
বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ। সেই প্রসঙ্গে মোদির বক্তব্য, প্রায় ২ মাস ধরে অভিযু্ক্ত ফেরার ছিল। কেউ তো অভিযুক্তকে আড়াল করেছিল। বিজেপির চাপে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে তৃণমূল সরকার। চোটের জবাব ভোটে দেবেন বাংলার মানুষ বলেও হঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলায় রেলের উন্নয়নের জন্য ১৩ হাজার কোটি: মোদি
একইসঙ্গে সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে ইন্ডিয়া জোটকেও একহাত নেন মোদি। বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ইন্ডিয়া জোটের নেতারা সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে চোখ-কান-মুখ বন্ধ করে রেখেছেন। মুখ্য়মন্ত্রাীর কাছে জবাব চাওয়ার সাহস দেখায়নি কংগ্রেস-সিপিএম। দুর্নীতি, তোষনকে প্রশ্রয় দেওয়াই ইন্ডিয়া জোটের লক্ষ্য বলেও কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১৪)
এদিন মোদির ভাষণে শুধু সন্দেশখালি নয়, দুর্নীতি ইস্যুতেও তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শোনা যায়। শিক্ষা, পুরসভা ও রেশন দুর্নীতিতেও তৃণমূল জড়িত, মোদির বক্তব্যে স্পষ্ট। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা উদ্ধার হচ্ছে। এতো টাকা কোনও সিনেমাতেও দেখা যায়নি। গরীবদের টাকা লুঠ করতে দেব না। লুঠেরাদের হারাতে হবে বলেও হুঙ্কার দেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবে আরামবাগের এই জনসভা থেকে রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রচারও শুরু করে দিলেন মোদি।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: