নদিয়া: কল্যাণীতে এইমস যাতে না হয় তার জন্য সবরকম চেষ্টা চালিয়েছে বলে তৃণমূলকে দায়ী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার কৃষ্ণনগরের সভা থেকে এইমস প্রসঙ্গ টেনে ফের তৃণমূলকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তৃণমূল গুন্ডাগর্দি, তোলাবাজির অনুমতি দেয়। কিন্তু কল্যাণীতে এইমসের জন্য ছাড়পত্র দিতে চায় না। কমিশন না দিলে তৃণমূল সরকার অনুমতি দেয় না বলেও অভিযোগ করেন মোদি।
তিনি আরও বলেন, এখানে তৃণমূল সরকার বাংলাকে নিরাশ করছে। তৃণমূল মানে বিশ্বাসঘাতকতা, দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্র। পশ্চিমবঙ্গকে প্রথম এইমস দেওয়ার গ্য়ারান্টি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানেও বাধা দিতে চেয়েছিল। মোদির গ্যারান্টি মানে প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হওয়ার গ্যারান্টি। পশ্চিমবঙ্গে বদল চাই। বাংলার বিকাশ হলে দেশের বিকাশ হবে।
আরও পড়ুন: বাংলার উন্নয়নে ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
একইসঙ্গে এদিন মোদির ভাষণে ফের শোনা গেল সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। আরামবাগের পর আজ কৃষ্ণনগরে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ টেনে ফের তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মোদি। তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে মা-বোনেদের উপর অত্য়াচার করেছে তৃণমূল। রাজ্য সরকার চায়নি সন্দেশখালির অভিযুক্তরা গ্রেফতার হোক। সন্দেশখালির নারীশক্তি আজ দুর্গার রূপ নিয়েছে। এখানে পুলিশ নয়, অপরাধীরা ঠিক করে কবে ধরা দেবে। বাংলায় তৃণমূল সরকার মা-মাটি-মানুষের নাম করে মহিলাদের ভোট নিয়েছেন। গরিবদের টাকা লুঠ করছে তৃণমূলের তোলাবাজরা বলেও আক্রমণ করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে আজকের এই জনসভা থেকে রাজ্যে আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রচারে ঝড় তুললেন মোদি। এই ঝড়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে কতটা ভাগ বসাবে, সেটাই এখন দেখার।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: