কলকাতা: সাদামাটা বাড়ি।সাধারণ ঘর। কিন্তু বাইরে থেকে ধা চকচকে রঙিন জীবন। যা দেখে বোঝার জো নেই যে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করছে কেউ। রবিবার সকালে গড়ফার বাড়ি থেকে অভিনেত্রী পল্লবী দে-র দেহ উদ্ধার হয়। আর তার পর থেকেই একের পর এক প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই পল্লবীর বাবা মা এবং ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে গড়ফা থানায়। অভিনেত্রীর দিদি পৌলমী দে জানিয়েছেন, বোনের সঙ্গে গত ১ মাস কথা হয়নি। ‘মন মানে না’ সিরিয়ালে অভিনয় করত। এতটুকুই! স্বাভাবিকভাবেই অভিনেত্রীর দিদির কথায় স্পষ্ট যে, বাড়ির সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল পল্লবীর। তাহলে লিভ ইনের কারণে কি বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ দুর্বল হচ্ছিল? একইসঙ্গে অভিনেত্রীর পাড়া পড়শিরা জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও খুব একটা সম্পর্ক ভালো ছিল না।
পুলিস জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে পল্লবীকে তাঁর গড়ফার ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিস। তাঁর গলায় জড়ানো ছিল বিছানার চাদর। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিনেত্রী পল্লবীর ডাকনাম মিষ্টু। বাড়ি হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে। তবে সেখান থেকে মাস কয়েক আগেই গড়ফার একটি আবাসনে চলে এসেছিলেন পল্লবী।সঙ্গে থাকতেন তাঁর বন্ধু সাগ্নিক চক্রবর্তী।স্বামী- স্ত্রীর পরিচয়ে ভাড়া নিয়েছিলেন তারা। রবিবার সকালে অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে অভিনেত্রীর পরিবারের লোকেরদের ফোন করে প্রেমিক।খবর দেওয়া হয় পুলিসে।
সোশাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন ‘মন মানে না’ ধারাবাহিকের এই অভিনেত্রী। খাওয়া-ঘোরা, ভালো লাগা, মন্দ লাগা সবটাই প্রকাশ পেত অভিনেত্রীর সোশাল সাইটে।বাদ যেত না প্রেমিকের সঙ্গে সেসব সেরা মুহূর্তরা।তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতেও ১৯ ঘণ্টা আগে পোস্ট রয়েছে হাতে মোমোর প্লেট নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার পরিচিত পাটুলির ফ্লোটিং মার্কেটে। রয়েছে ১২ ঘণ্টা আগে দু’বছর আগের তাঁর কাছের দুই বন্ধু ভাবনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রত্যুষা পালের সঙ্গে ছবিও। অনেকেরই মত, স্বাভাবিকভাবে মুহূর্তদের সোশালে পোস্ট করার পর কীভাবে এই অস্বাভাবিক কাজ করলেন অভিনেত্রী? কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কী এমন ঘটল অভিনেত্রীর সঙ্গে?
আরও পড়ুন Pallabi Dey: গ্ল্যামার জগতে উত্থান-পতনের কারণেই কি হতাশা? কী বলছেন মনোবিদরা