কলকাতা: ১৬ অগস্ট ‘খেলা হবে দিবসে’র তারিখ বদলানো হোক। রাজ্যপালের কাছে এই দাবি রাখলেন হিন্দু সমাজের প্রতিনিধিরা। দাবি জানাতে গিয়ে টেনে আনলেন ১৯৪৬-৪৭ সালের ‘দ্য গ্রেট ক্য়ালকাটা কিলিংস’-এর ইতিহাস। চল্লিশ জনেরও বেশি সন্ন্যাসীরা রাজভবনে পৌঁছে রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে তাঁদের দাবি জানালেন। সন্ন্যাসীদের এই বার্তা রাজভবনে পৌঁছে দেওয়ার অনুঘটক হিসেবে কাজ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল পেগাসাস মামলার শুনানি
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1425026212204666887?s=20
আগামী ১৬ অগস্ট রাজ্যে খেলা হবে দিবস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন দিন কয়েক আগেই। হিন্দু সমাজের প্রতিনিধিদের দাবি দিনটিকে তাঁরা বিশেষভাবে পালন করে থাকেন। তাই রাজ্য়পাল যেন তাঁদের এাসিদে মুখ্যমন্ত্রী কাছে পৌঁছিয়ে দেন। ১৬ অগস্টের বদলে যেন অন্য় যে কোনও দিন ‘খেলা হবে দিবস’ পালন করা হয়। এ বিষয়ে সনাতন হিন্দু সমাজের এক সন্ন্যাসী জানিয়েছেন, ‘আগামী ১৬ অগস্ট খেলা হবে দিনটিকে পরিবর্তন করা হোক। ইতিহাসের পাতায় দিনটি একটি রক্তাক্ত দিন। এজন্য আমরা জাগদীপ ধনকার এর কাছে আর্জি জানিয়েছি। তিনি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে জানাবেন’।
আরও পড়ুন ‘উজালা যোজনা’য় বিনামূল্যে গ্যাস পাবেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা
কিছুক্ষন পরেই টুইট করেন রাজ্যপাল। লেখেন, সন্ন্যাসীরা তাঁর কাছে এসেছিলেন। হিন্দু সমাজের সন্ন্যাসীদের একটাই বক্তব্য যে খেলা হবে তারিখ যেন বদলানো হয়। গভর্নর তাঁদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু সন্ন্যাসীদের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী, যিনি বিরোধী দলনেতা এবং বিধানসভার বিধায়ক তিনি কী করছিলেন ? কেননা হিন্দু সমাজ তো একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংস্থা । তাঁদের সঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কি সম্পর্ক? কলকাতা ডিজিটালের প্রশ্ন ছিল এটা। এই প্রশ্নের উত্তরে প্রসার রামানুজ অখিল ভারত জয় গুরুর, সন্ত মহারাজ বলেন, ‘শুভেন্দু এখানে পাঁশকুড়ার জগন্নাথ মন্দিরে এসেছেন বিজেপি নেতা হিসেবে নন।’
আরও পড়ুন আইনি প্রক্রিয়া মেনে স্কুল সার্ভিস কমিশন চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে: ব্রাত্য
এ প্রসঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ জানান, গ্রেট ম্যাসাকার ডে গুজরাট, গ্রেট ম্যাসাকার ডে মুম্বাই, গ্রেট ম্যাসাকার ডে উত্তর প্রদেশ হয়েছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মদতে। শুভেন্দু অধিকারী আগে ওই সব ম্যাসাকারের ঘটনার উত্তর দিক, তারপর এখানে কথা বলবে। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে থাকে । রাজ্যের মানুষ বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ রাজ্যের দায়িত্ব দিয়েছে। তাই এক্ষেত্রে বাংলার মানুষের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।