কোভিডের (Covid) কারণে শিশুদের মধ্যে বাড়ছে ইস্কেমিক স্ট্রোকের (Ischemic Stroke) সম্ভাবনা। এরকই একটি গবেষণার রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে। যা নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গবেষণার এই রিপোর্টটি পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি (Pediatric Neurology) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে চলতি সপ্তাহেই। সেখানে বলা হয়েছে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময়পর্বে ইস্কেমিক স্ট্রোক হওয়া ১৬ জন রোগীদের নিয়ে একটি অধ্যয়ন চালানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া ওই অধ্যয়ন থেকে উঠে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য। দেখা গিয়েছে, কোভিড সংক্রমিত হওয়ার পর বাচ্চাদের মধ্যে ইস্কেমিক স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। শিশুদের কোভিড সংক্রান্ত অসুখ বৃদ্ধি পাওয়ার পর এই সমস্ত স্ট্রোকের ঘটনাগুলি ঘটেছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মে মাসের মধ্যে হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত ওই সমস্ত শিশুদের কোভিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়েছিল, তাদের অর্ধেকেরই টেস্ট পজিটিভ এসেছে। কোভিড আক্রান্ত ওই শিশুদের কেউই তেমন গুরুতর অসুস্থ ছিল না ভাইরাসের প্রকোপে, কারও কারও ক্ষেত্রে আবার বিষয়টা উপসর্গহীন ছিল (Asymptomatic)। পাঁচজনের করোনা টেস্ট পজিটিভ আসেনি।
আরও পড়ুন: Samantha Hospitalized: সামান্থা কী হাসপাতালে!
গবেষকরা বলছেন, শিশুদের স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কম। কিন্তু কোভিড হওয়ার পর উদ্বেগজনভাবে এই সম্ভাবনা বেড়ে যেতে দেখা হিয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে অজানা কারণে বছরে শিশুদের স্ট্রোক হওয়ার ঘটনা যেখানে ৪টি হত, সেখানে ২০২১ সালে সালে ৬ মাসে ১৩টি ঘটনা ঘটেছে। যদিও এর আগে ২০২১ সালে হওয়া আন্তর্জাতিক একটি অধ্যয়ন বলছে, কোভিড এক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা নেয় না। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। স্নায়বিক লক্ষণজনিত উপসর্গ (Neurologic Symptoms)-এর এক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা আছে কিনা, সেটাও গবেষণা করে দেখতে হবে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য হল প্রাপ্তবয়ষ্কদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের যেমন উপসর্গ দেখা যায়, শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায়শই সেভাবে ফুটে ওঠে না। এই গবেষণাতেও দেখা গিয়েছে কোভিড উপসর্গহীন শিশুদের ক্ষেত্রেও স্ট্রোকের মতো অসুখের জটিলতা দেখা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইস্কেমিক স্ট্রোক হল এমন একধরনের শারীরিক জটিলতা যেখানে মস্তিষ্কে রক্ত পৌঁছাতে বাধা পায় কিংবা রক্তপ্রবাহ কমে যায়। ফলে মস্তিষ্কের টিস্যু অক্সিজেন এবং পুষ্টি না পেয়ে মারা যায়। যে কোনও স্ট্রোকই জরুরি অবস্থা এবং এর জন্য তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।