কলকাতা: রাজ্যে এল আরও ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৩০ ডোজ কোভিশিল্ড। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গলবার বিকেলে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এসে পৌঁছায় ভ্যাকসিন। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দর থেকে এই ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হয় বাগবাজারের সেন্ট্রাল ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্টোরে। বাগবাজার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই ভ্যাকসিন বণ্টন করা হবে। সন্ধ্যার বিমানে আরও ভ্যাকসিন আসবে রাজ্যে।
আরও পড়ুন: চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট, এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত ৮৬
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ কমেছে৷ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় বিধি-নিষেধে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে৷ যাঁরা ভ্যাকসিন পাননি, তাঁদের জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে৷ রাজ্যের জনসংখ্যার তুলনায় কম ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি গিয়ে মোদির সঙ্গে দেখা করে ক্ষোভও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতেই রাজ্যে দফায় দফায় ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। গত সপ্তাহে বেশ কয়েকদিন কলকাতার সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই কোভিশিল্ড টিকাকরণ বন্ধ ছিল। অনেকেই টিকা নিতে এসে নোটিস বোর্ড দেখে ফিরে গিয়েছিলেন। কোথাও আবার টিকা কেন্দ্রের বাইরে লম্বা লাইন দেখে মাইকিং করতে হয়েছে পুরকর্মীদের। এ রকম পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে পর্যাপ্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন চেয়েছিল রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের আগে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু প্রায় ৬ হাজার নিরাপত্তা কর্মীর
শনিবার কলকাতার পুরসভার মুখ্য প্রশাসক তথা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ বলেছিলেন, কেন্দ্র আমাদের কোভিশিল্ড পাঠায়। সেই জোগানের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হয়। কেন্দ্র যা ভ্যাকসিন পাঠায় তার ভিত্তিতে রাজ্য সরকার কলকাতার জন্য পরিমাণ নির্ধারণ করে। আমাদের নিজেদের টিকা নেই। আমরা যা পাই, তাই দিই। যারা ভ্যাকসিনে দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেন, তাঁরা মূর্খ না গর্দভ জানি না। কোউইন অ্যাপে সব পরিসংখ্যান রয়েছে।
বাংলায় অনেকেরই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। গোল বেধেছে দ্বিতীয় ডোজ নিতে গিয়ে। নির্দিষ্ট সময়পেরিয়ে গেলেও স্টকের অভাবে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না অনেকেই। টিকাকেন্দ্রে গিয়ে রোজ রোজ খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে ভ্যাকসিনের আকাল চলছে। কোথাও লাইন দিয়েও ভ্যাকসিন না পেয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। কোথাও আবার ভ্যাকসিনের লাইনেই তুমুল বচসা, হাতাহাতি। এই আবহে রাজ্যে ফের এল কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন।