জলপাইগুড়ি: মঙ্গলবার ক্রান্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী সভা। আর সেই সভাস্থলের কাছে তিস্তার চরে ৫০-৬০টি হাতির দল সকাল থেকেই বাসুসুবা এলাকায় আস্তানা গেড়েছিল। কোনওভাবেই তিস্তা নদী পেরিয়ে যাতে হাতিরগুলো ক্রান্তি এলাকায় না ঢুকতে পারে, সেই দিক চিন্তা করেই বনবিভাগ ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নজরদারি চালায় হাতিদের উপর। এরপর সন্ধ্যা নামলে হাতিদের বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গলে পাঠানো সম্ভব হয়।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী চালসা মেটেলি রাজ্য সড়কের পাশে থাকা রিসোর্ট থেকে পায়ে হেঁটে বাইরে বের হন। রাস্তার পাশে থাকা ধনমায়া লামার মোমোর দোকানে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতেই মোমো বানাতে থাকেন। সেই মোমো বানিয়ে সাংবাদিক ও জনগণকে খেতে দেন ।এমনকি নিজের হাতে চা-ও বানান তিনি। নিজের হাতে বানানো সেই চা উপস্থিত সকলকে পান করার জন্য দেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী আবার পায়ে হেঁটে সোজা সেই রিসোর্টে চলে যান। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য রিসোর্টের বাইরে বহু মানুষেরা ভিড় জমান। ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশ প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | পঞ্চায়েত ভোটে কোন জেলা কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাচ্ছে?
মোমো দোকানের মালিক ধনমায়া লামা জানান, মুখ্যমন্ত্রী আমার দোকানে আসবে তা কোনওদিন ভাবতে পারিনি। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে মোমো ও চা বানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে এদিন আমরা ভীষণ খুশি। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী এই রিসোর্ট থেকে বেরিয়ে সোজা ক্রান্তির জনসভার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বলে জানা যায়। সেখানেই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের নির্বাচনী প্রচার ছাড়বেন তিনি। সোমবার কোচবিহার থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন মমতা। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্যের বকেয়া সহ একাধিক ইস্যুতে সরভবন তিনি। পাশাপাশি নাম না করে নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করেন মমতা।