কলকাতা: রাজ্যের ১১২ পুরসভায় পুর বোর্ডের মেয়াদ বহুদিন আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে৷ ২০২০ সালে ওই পুরসভা গুলিতে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু, করোনা অতিমারির কারণে তা সম্ভব হয়নি৷ বাধ্য হয়ে পুরসভা গুলিতে কোথাও পুর প্রশাসক, কোথাও পুর কমিশনার দিয়ে কাজ চলছে। বর্তমানে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। এই আবহে বিধানসভা ভোটও হয়েছে। এবার পুর ভোট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হল৷ শনিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেমনই ইঙ্গিত দিলেন৷ এ দিন মমতা বলেন,“অক্টোবরের শেষে উপনির্বাচন মিটলে অন্যান্য ভোটের ব্যবস্থাও তো করতে হবে।”৷ এ দিকে চলতি মাসের শেষে রাজ্যের ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন৷ তারপরই পুরভোট হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷
রাজ্যে পুরসভা ভোট নিয়ে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মমতার ইঙ্গিত অনুযায়ী, পুজো মিটলে বিধানসভার বাকি উপনির্বাচন মিটলে হতে পারে পুরভোট। ভোট প্রস্তুতি নিতে সময় লাগবে৷ সব মিলিয়ে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে পুরভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আরও পড়ুন-ভবানীপুরের সংখ্যালঘু ভোটারদের রুটি ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল: শুভেন্দু
শনিবার আকাশপথে প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করে আসার পর নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, রাজ্যের মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে৷ ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে৷ ডিভিসির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আগে থেকে কথা বলে কেন জল রিলিজ করছ না? পাঁচ হাজার, দশ হাজার করে যদি জল ছাড়ে তাহলে গ্রামগুলি ভেসে যায় না৷ আমার জেলগুলো ভেসে যায় না৷ সেটা না করে যেই ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হচ্ছে জলটা বেঙ্গলের উপর ছেড়ে দিচ্ছে৷ আর ঝাড়খণ্ডের বন্ধু সরকারকে রিকোয়েস্ট করব, ড্যামগুলি সংস্কার করুন৷ আপনারা জল ছেড়ে এভাবে আমাদের ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলবেন না৷’