কলকাতা: চারটি পুরনিগমের ভোটে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। সবুজ ঝড়ে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম। ভোট শতাংশের নিরিখে অন্যান্য বিরোধী দলগুলির থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে রাজ্যের শাসকদল। ভোটের ফল বেরোনের পর বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএমকে জগাই-মাধাই-গদাই বলে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার কথায়, কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপির মধ্যে গোপন আঁতাত রয়েছে। কখনও কংগ্রেস-সিপিএম বিজেপিকে ভোট দেয়, আবার কখনও উল্টোটাও হয়। বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস বিজেপিকে ভোট দিয়ে সাহায্য করেছিল। তার আগে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটেও বাম-কংগ্রেসের ভোট বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল বলে দাবি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তর দাবি, বিরোধী ভোট ভাগ করার জন্য তৃণমূল বামেদের তুলে ধরার দায়িত্ব নিয়েছে। বামেদের প্রচারে গুটি কয়েক লোক দেখা যাচ্ছে। অথচ তারা ভাল ভোট পাচ্ছে। এটা অবিশ্বাস্য। লোকজন ছাপ্পা মারার সময় পাঁচটা তৃণমূলে মারলে দুটো বামেদের হয়ে মেরে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: UP Elections 2022: যোগী না, আসলে উনি ভোগী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ মমতার
যোগী আদিত্যনাথকে এদিন ‘ভোগী’ বলে কটাক্ষ করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘উত্তরপ্রদেশে গণতন্ত্র বলে কোনও কিছু নেই। মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। নারীদের উপর অত্যাচার করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। কৃষকদের বুকের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় মন্ত্রীর ছেলে। উত্তরপ্রদেশে আইনের শাসন চলে না। কেউ কোনও বিচার পায় না।’
কংগ্রেসকেও এদিন তুলোধনা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিরোধী জোট নিয়ে কংগ্রেসের ভূমিকার সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘ওরা ওদের মতো চলবে। আমরা আমাদের মত চলব। কংগ্রেসের সঙ্গে স্থানীয় দলগুলির কোনও ভাব নেই। কয়েকটি রাজ্যে ওদের সঙ্গে বিরোধী দলগুলির জোট রয়েছে বলে বাধ্য হয়ে তারা কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে।’