কাকদ্বীপ: আকাশছোয়া স্বপ্ন আর অদম্য ইচ্ছা শক্তির কাছে হার মেনেছে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা (Physical disability)। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গে নিয়েই জীবনের বড় পরীক্ষায় বসল কাকদ্বীপের সঞ্চিতা গিরি সুজয় দাস ও মুক্তা দাসেরা। তিনজনই কাকদ্বীপের অক্ষয়নগর জ্ঞানদাময়ী বিদ্যাপীঠের পড়ুয়া (Akshyanagar Jnanadamoyee Vidyaniketan)। এবছর তাদের মাধ্যমিকের সিট পড়েছে অক্ষয় নগর কোমর নারায়ণ হাই স্কুলে। অক্ষয় নগর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্চয়িতার উচ্চতা এক থেকে দেড় ফুট। ওজন ১৫ কিলোগ্রামের মতন। অভাবের সংসারে যথাযথ চিকিৎসাও মেলেনি। তবু অদম্য যেতে সে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে অন্যান্য স্বাভাবিক পরীক্ষার্থীদের মতনই। মায়ের কোলে করেই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাচ্ছে সঞ্চয়িতা। অন্যদিকে সঞ্চয়িতা পড়াশোনার পাশাপাশি খুব সুন্দর আঁকার বেশ দক্ষ। ইতিমধ্যেই জেলায় প্রতিবন্ধীদের প্রতিযোগিতায় সে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। সঞ্চিতা চায় পড়াশোনার পাশাপাশি বড় চিত্রশিল্পী হতে।
অন্যদিকে কাকদ্বীপের বাসিন্দা মুক্তা মুখ ও বধির। ছোটবেলাতেই এই প্রতিবন্ধকতা ধরা পড়ে তার। অনেক চিকিৎসা করেও মেলেনি কোন সুরাহা। মেয়ের লেখাপড়া নিয়ে সংশয় ছিল পরিবারের লোকজনের। তবে হাল ছাড়েনি মুক্তা। পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে নিজের উদ্যোগেই। সেও এবার স্বাভাবিকের মতোই পরীক্ষা দিচ্ছে জীবনের বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক (Madhyamik Exam 2024)। অন্যদিকে মুক্তার কষ্ট করে পড়াশোনা করতে হলেও হাতের লেখা নাকি অত্যন্ত সুন্দর। নানা প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষায় (Madhyamik Exam 2024) উত্তীর্ণ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
আরও পড়ুন:নকলে বাধা, ক্লাসরুমে ভাঙচুর চালাল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা
সুজয় দাস জন্ম থেকেই বিকলাঙ্গ হাঁটাচলা করতে পারেনা। লাঠি ধরে চলাফেরা করতে হয়। ছোট থেকেই স্নায়ুর সমস্যা। তিনবার অস্ত্র প্রচার হয়েছে। সুজয়ের বাবা পেশায় একজন মৎস্যজীবী। অনেক কষ্ট করে অভাবের মধ্যেই পড়াশোনা করতে হয়েছে সুজয় কে। কিন্তু তার মধ্যেও জীবনের অদম্য যে দের কাছে হার মেনেছে প্রতিবন্ধকতা। তবে এই বিষয়ে অক্ষয় নগর জ্ঞানদাময়ী বিদ্যাপীঠের সহকারী শিক্ষক জানায় আমরা গর্বিত তাদের এই অদম্য ইচ্ছার কাছে। আর পাঁচজনের মতোই তারা স্বাভাবিকের মতো পরীক্ষা দিচ্ছে এবং আশানুরও ফলও করবে তারা ভরসা রয়েছে শিক্ষকদেরও।
অন্য খবর দেখুন