নন্দীগ্রাম: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । এবার মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikery)। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, কারও নাগরিকত্ব গেলে আমি পদত্যাগ করব, সবার নাগরিকত্ব থাকলে আপনি পদত্যাগ করবেন তো? নন্দীগ্রামের গোকুলনগে শহীদ মিনারে ২০০৭ সালের ভূমি রক্ষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সভামঞ্চ থেকেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন।
গত সোমবার সিএএ (Citizenship Amendment Act) চালু করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করার আগেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, সিএএ-র নামে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে। হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করার জন্য এই আইন করা হয়েছে। বাংলায় আমরা সিএএ চালু করতে দেব না।
আরও পড়ুন: এক দেশ, এক ভোটের রিপোর্ট জমা পড়ল রাষ্ট্রপতির কাছে
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে বারবার রাস্তায় নেমেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবার রুল তৈরির পর তা চালুর বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই নতুন করে পথে নেমেছে তৃণমূল। মঙ্গলবার হাবরার সভা থেকে মমতা আবারও সুর চড়িয়ে বলেছেন, প্রয়োজনে আমি নিজের জীবন দেব। কিন্তু বাংলায় সিএএ চালু করব না। ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, আপনারা দরখাস্ত করলে সব নাগরিকত্ব বাতিল করে দেবে। অধিকার বাতিল করে দেবে। উদ্দেশ্যপ্রণেদিত ভাবে রমজানের আগেই নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। এর বিরোধিতা জারি থাকবে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই এদিন নন্দীগ্রামে মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দলের নেতারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। কারও নাগিরকত্ব যাবে না। একটি লোকের নাগরিকত্ব গিয়েছে বলে দেখাতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। আপনি না দেখাতে পারলে রাজনীতি ছাড়বেন তো? শুভেন্দু বুধবার রানাঘাটে এক সভায় দাবি করেন, CAAর অধীনে নাগরিকত্বের আবেদন করতে কোনও কাগজের প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র নাম আর কোথা থেকে এসেছেন তা উল্লেখ করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্বের নথি। যাঁরা আবেদন করবেন সবাই নাগরিকত্ব পাবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, মুসলমানরা নিশ্চিন্তে থাকুন। মমতার ফাঁদে পা দেবেন না। এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। একই সুর শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরামন্ত্রী অমিত শাহের গলাতেও।
অন্য খবর দেখুন