নভেম্বর শেষ হতে চলল এদিকে এখনও জাঁকিয়ে শীত পড়েনি শহরে। একদিকে যেমন সন্ধে নামলেই ঝপ করে নামছে তাপমাত্রার পারদ তেমন আবার দিনের দিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে চড়ছে তাপমাত্রার পারদ, বাড়ছে গরম। আর এই ঠান্ডা গরমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন আট থেকে আশি সকলেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় শরীর কাবু করছে সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা কিংবা জ্বর। আর এতে আরও বেশি করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের তুলনায় কম থাকে। তাই এই সময় ওদের নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন এই সব খাবার। যেমন-
কমলালেবু
কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে অত্যন্ত আবশ্যক। শুধু বাচ্চারা নয় শীতে নিয়মিত কমলালেবু খেলে উপকৃত হবেন বড়রা।
মরশুমি ফল ও শাক, সবজি
ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেরই মরশুমি ফল, শাক সবজি খাওয়া উচিত। কারণ, মরশুমি খাবারে এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান থাকে যা আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে একাধিক জীবানু সংক্রমণ থেকে আমাদের সুরক্ষিত রাখে। নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় তাই সুষম আহার অবশ্যই রাখুন। পাশাপাশি এই যে নানা রংয়ের সবজি পাওয়া যায় সেগুলো অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখুন কারণ পুষ্টির নিরিখে প্রত্যেকটি রংয়েরও আলাদা আলাদা উপকারিতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: শীতকালে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় ওটস না রাখলেই নয়
ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার
ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল করে। তাই আপনার সন্তানকে শীতকালে নিয়মিত পাতিলেবু, চেরি, আমলকির জুস, কিওয়ি, পেয়ারা ইত্যাদি খেতে দিন। কারণ এই সব খাবারে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি রয়েছে।
মশরুম
মশরুমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ও অন্যান্য আরও পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। এই সব উপাদান বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই বাচ্চাদের জন্য মশরুমের সুপ, স্যান্ডউইচ, কষিয়ে রান্না করে মাশরুমে মুখরোচক আপনার বাচ্চাকে খেতে দিন। ওদের মন ও পেট যেমন ভরবে তেমন বাড়বে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
আরও পড়ুন: শীতকাল এলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন? সমস্যার সহজ সমাধানে খান ফ্ল্যাক্স সিড
ড্রাই ফ্রুটস
ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য বাচ্চাদের দুধ বা হেলথ ড্রিংকসের সঙ্গে কাজু, আমন্ড, আখরোট কিংবা মখানা খাওয়াতে পারেন। আর যদি আপনার সন্তান ড্রাই ফ্রুটস খেতে ভাল না বাসে তা হলে এগুলো পিষে দুধে, হেলথ ড্রিঙ্কস, সম্মুদি কিংবা আবার ড্রাই ফ্রুটস লাড্ডু বানিয়ে খাওয়াতে পারেন।
দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন
খুদেরা এই কম্বিনেশন হয়ত কোনও মতেই মুখে তুলতে চাইবে না তা ঠিকই। তবে এই দুধ ও হলুদ শরীরের পক্ষে যে কতটা উপকারী তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই মাঝে মধ্যে জোর করে হলেও এটা খাওয়ান। সন্তানের শরীর ভাল থাকবে। তবে আজকাল বাচ্চাদের মধ্যে ল্যাক্টোস ইন্টলারেন্স প্রায়ই দেখা যায়। এক্ষেত্রে ইষদুষ্ণ গরম জলে হলুদ গুলে খেতে দিতে পারেন।