জলপাইগুড়ি: কলকাতায় কাজে গিয়ে গত ন’মাস থেকে নিখোঁজ বাবা। স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাই এবার ঠাকুমাকে সঙ্গে নিয়ে সরাসরি জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হল উনিশ বছর কিশোরী সঞ্জিতা রায়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খন্ডবাহালে উমেশ গণপথের সঙ্গে কথা বলে অনেকটাই আস্বস্ত ওই কিশোরী।
জানা গিয়েছে, ক্রান্তি ব্লকের বাসিন্দা সুন্দর মোহন রায় গত জানুয়ারী মাসে মালদহের এক ঠিকাদারের মাধ্যমে কলকাতায় সাটারিংয়ের কাজে গিয়েছিল। তারপর থেকে তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকী থানায় নিখোঁজের অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপারের দফতরেরে দাঁড়িয়ে সঞ্জিতা জানান, তাঁর বাবার সঙ্গে আরও ৭ জন গিয়েছিল। তাঁরা সকলে ফিরে এলেও বাবা আসেননি। এই পরিস্থিতিতে কয়েক মাস আগে হঠাৎ করেই মালদহ স্টেশন থেকে বাবা ফোন করে জানান, তার কাছে কোনও টাকা-পয়সা নেই, কাউকে পাঠিয়ে তাঁকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করার জন্য। বিষয়টি সেই সময় ওই ঠিকাদারকে জানানো হয়। কিন্তু স্টেশনে গিয়ে তাঁর বাবাকে সে পায়নি বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ব়্যাগিংয়ের অভিযোগে সাসপেন্ড ১০ মেডিক্যাল পড়ুয়া
তবে বাবা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পিছনে কোনও রহস্য আছে বলেই এদিন পুলিশ সুপারকে জানিয়েছে সঞ্জিতা। এদিকে বাবা না থাকার কারনে সংসার, মা, বোন এবং ঠাকুমাকে নিয়ে চালানো কঠিন হয়ে উঠছে। কলেজে ভর্তি হলেও পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়ছে বলেও জানান স্থানীয় সমাজ কর্মী শুভদীপ মজুমদার। তিনি বলেন, তবে পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার। যে কারণে কিছু একটা পথ এবার বের হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।