আলিপুরদুয়ার: খালি পরে রয়েছে জমি, হাতির তান্ডবে চাষ করতে পারছেন না কৃষকরা। জীবিকা নিয়ে সংশয়ের মধ্যে রয়েছেন কৃষকরা। জীবন জীবিকা বাঁচাতে বনদফতরের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছন তারা। আলিপুরদুয়ারের কালচিনির (Kalchinir of Alipurduar) পূর্ব সাতালি এলাকার ঘটনা। কৃষকদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে হাতি এসে তান্ডব চালাচ্ছে কৃষি জমিতে, যার কারণে চাষবাস ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তারা। বর্তমানে ভুট্টা, সরষা সহ অন্যান্য ফসল চাষের সময় থাকলেও হাতির তান্ডবে (Elephant Attack) কোনও চাষই করছেন না তারা। তাদের কথায়, এলাকার প্রায় দশজনেরও বেশি কৃষক বর্তমানে চাষ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এখন তা না করতে পারলে কীভাবে সংসার এবং ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা চালাবেন তা নিয়েই চিন্তিত কৃষকরা।
আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের পূর্ব সাতালি এলাকার মানুষেরা চতাষ নির্ভর। কিন্তু ওই এলাকায় নিত্যদিন হাতির দলের তাণ্ডব লেগেই থাকে। হাতির দাপটে মাঠের সফল মাঠেই নষ্ট হয়ে যায়। ঘরে কানা কড়িও তুলতে পারেন না। কোনও সময় বেঁচে যাওয়া সফল বিক্রি করেও খরচ ওঠাতে পারে না। কৃষকদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল (Buxa Tiger Reserve) থেকে হাতি এসে তান্ডব চালাচ্ছে কৃষি জমিতে। ক্ষতির কারণে চাষবাস ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তারা। বর্তমানে ভুট্টা, সরষা সহ অন্যান্য ফসল চাষের সময় থাকলেও হাতির তান্ডবে কোনো চাষই করছেন না তারা। তাদের কথায়, এলাকার প্রায় দশজনেরও বেশি কৃষক বর্তমানে কৃষিকাজ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ৪০ বিঘার মতো জমি খালি পরে রয়েছে। এই কৃষিকাজই এই এলাকার কৃষকদের প্রধান জীবিকা। এখন তা না করতে পারলে কীভাবে সংসার এবং ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা চালাবেন তা নিয়েই চিন্তিত কৃষকরা। এরজন্য বনদফতরের কাছে বৈদ্যুতিক ফেন্সিং লাগানোর দাবি জানাচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন:রেশনের সমস্যা নিয়ে সরব হলেন কালচিনি চা শ্রমিকরা
এলাকার কৃষকরা জানান, ‘জঙ্গল ঘিরে বৈদ্যুতিক ফেন্সিং লাগলে লোকালয়ে হাতির প্রবেশ অনেকটাই কমে যাবে। তারা চাষ করতে পারবেন। যদিও এ বিষয়ে হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জের রেঞ্জার অঙ্কন নন্দী বলেন, ‘ওই এলাকা হাতির করিডরের মধ্যে পড়ে তাই ওখানে হাতির আনাগোনা একটু বেশি হয়।এছাড়া আমরা নিয়মিত টহলদারী চালাচ্ছি এবং কৃষকদের দাবি অনুযায়ী বৈদ্যুতিক ফেন্সিংয়ের প্রস্তাবও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।’
অন্যদিকে খাবারে লোভে চালসার জনবহুল এলাকায় হানা দেয় হাতি। রবিবার রাতে চালসা গোলাইয়ের জাতীয় সড়কের পাশে থাকা সমীর দাসের দোকানের বেড়াও ভেঙে দেয় হাতিটি। এরপর এলাকার ইন্দ্রজিৎ সাহানির বেশ কয়েকটি কলা গাছ ও সুপারি গাছও নষ্ট করে হাতিটি। রাতেই অবশ্য খবর পেয়ে এলাকায় আসে খুনিয়া স্কোয়াডের বন কর্মীরা। বন কর্মীরা এসে পটকা ফাটিয়ে ফের হাতি দুটিকে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়। এতদিন জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় হাতির হানা হত। তবে এবার জনবহুল চালসা গোলাই এলাকায় হাতির হানায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকার জনগণের মধ্যে।
আরও অন্য খবর দেখুন