রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মঙ্গলবার ঘোষিত হল জেলাভিত্তিক আবাস যোজনার তালিকা। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে জেলাশাসকদের একটি বৈঠক হয়। সেখানেই ঘোষণা করা হয় সম্পূর্ণ তালিকাটি। জেলা প্রশাসনের তরফে প্রতিটি জেলায় এই টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কিভাবে এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তার বিষয়ে বিস্তর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন বাংলায় RSS-এর তিন সদর দফতর, সংখ্যালঘু এলাকায় শাখা
বাংলার আবাস যোজনা কী?
দরিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারি ব্যক্তি যারা গৃহহীন বা কাঁচা অর্থাৎ মাটির বাড়িতে বসবাস করেন তাদের একটি পাকা বাড়ি নির্মাণের জন্য আর্থিক সুবিধা প্রদান করা, যাতে একজন দরিদ্র ব্যক্তি পাকা বাড়িতে বসবাস করার সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্য লাভ করতে পারেন।
আরও পড়ুন গ্যাসের পাইপ লাইন খুলে দেশলাই, বৃদ্ধার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ
এই প্রকল্পে কি সুবিধা মেলে?
প্রতিটি উপভোক্তাকে তাদের নিজের বাড়ি নিজে প্রস্তুত করার জন্য বর্তমানে তিনটি কিস্তিতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। প্রথম কিস্তিতে ৪৫ হাজার টাকা যার মাধ্যমে বাড়ির জানালা পর্যন্ত নির্মাণ, দ্বিতীয় কিস্তিতে ৪৫ হাজার যার দ্বারা বাড়ির লিন্টেল লেভেল পর্যন্ত নির্মাণ, তৃতীয় এবং সর্বশেষ কিস্তিতে ৩০ হাজার টাকা যার মাধ্যমে বাড়ির ছাদ ও জানালা, দরজা, প্লাস্টার সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ কার্য সম্পন্ন করা হয়। তবে নির্মিত গৃহটির এলাকার ন্যুনতন পরিমাপ ২৫ বর্গমিটার বা ২৭০ বর্গফুট হতে হবে। প্রতিটি কিস্তির অর্থ উপভোক্তার নিদিষ্ট ব্যাঙ্ক আযাকাউন্টে এফ.টি:ও. (Fund Transfer Order)-এর দ্বারা সরাসরি প্রদান করা হয়। বাড়ির নির্মাণ কার্য শেষ হওয়ার পর উপভোক্তার নাম উল্লেখ করে প্রকল্পটির নাম বাড়িটির দেওয়ালে লিপিবদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন এবার জালে ‘ভুয়ো’ সেনা, চাকরির নামে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা
বাংলা আবাস যোজনায় মোট ৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৬৮৭ টি বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সবথেকে বেশি মুর্শিদাবাদ জেলায় টার্গেট দেওয়া হয়েছে। ৬৬ হাজার ১৫৫ । এর পরেই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর সেখানে ৫১ হাজার ২১২। মালদহে ৪৭ হাজার ৪২ টি। পূর্ব বর্ধমানে ৩০ হাজার ৮৫। উত্তর ২৪ পরগণা ৩৫ হাজার ১৫৭। দক্ষিন ২৪ পরগণায় ৩৮ হাজার ৫৬০। আলিপুরদুয়ারে ৫৬৭। বাঁকুড়ায় ১৪ হাজার ৩৮৮। বীরভূমে ৪৫ হাজার ৫০১। দার্জিলিং-এ ১৭০৬। দক্ষিন দিনাজপুরে ৩৩৬৯। উত্তর দিনাজপুরে ৭৫২২। হুগলিতে ১৩ হাজার ৯০৫। হাওড়ায় ১৪ হাজার ৬৯৭। জলপাইগুড়িতে ৪৪৫৩। ঝাড়গ্রামে ১১ হাজার ১৪৯। কালিংপং-এ ১৩৬৩। নদিয়াতে ১৩ হাজার ৮০৬ । পুরুলিয়াতে ২৭ হাজার ৪৯৭। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে ১৯১৮।