কলকাতা: দলের অবস্থা বেশ খারাপ। তার মধ্যে চলতি সপ্তাহের পরপর দুই দিন দুই বিধায়ক দল ছেড়েছে। বিজেপির(BJP) ওই দুই উইকেট ঘরে তুলেছে তৃণমূল(TMC)। কারণ কী? অন্দরে কোন্দল নাকি সমন্বয়ের অভাব? তার উত্তর দিলেন, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ বুধবার তিনি বলেন, ‘‘এত নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই৷ তাই, যোগাযোগে সমস্যা৷’’ তাঁর এই অকপট স্বীকারোক্তিতেও নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ দখলের স্বপ্ন দেখেছিল বিজেপি৷ গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে ‘দিল্লি টু বাংলা’ ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করতে দেখেছে দেশের মানুষ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা কেউই ডেইলি প্যাসেঞ্জারি থেকে বাদ যাননি৷ তারপরও বাংলা দখল অধরা রয়ে গেল গেরুয়া নেতৃত্বের৷ বরং, বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃতীয় নবান্নের দায়িত্বে পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে, বিরোধী দলের স্থান পেয়েছে বিজেপি৷ ৭০ বেশি বিধায়ক পেয়েছে তারা৷ তারপরও গেরুয়া শিবিরের ভাঙন আটকাতে পারছে না বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব৷ এই অবস্থায় বিধায়কদের মনের অবস্থা বুঝতে জরুরী বৈঠক ডেকেছিল রাজ্য নেতৃত্ব। সেখানেও গরহাজির এক ঝাঁক বিধায়ক। যা নিয়ে ক্রমশই জোরাল হচ্ছে জল্পনা। তারওপর রাজ্য সভাপতির অকপট স্বীকোরোক্তিতেও বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলার মানুষ গেরুয়া শিবিরকে বিশ্বাস না করে ঠিকই করেছে। যারা নিজেদের বিধায়কদের সামলাতে পারছেন না তারা সরকার সামলাতো কী করে?
আরও পড়ুন- জল্পনা বাড়িয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গরহাজির বিজেপির সাত বিধায়ক
একুশের নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে গেরুয়া শিবিরে ভাঙন অব্যাহত৷ রাজ্যস্তর থেকে জেলাস্তর সব জায়গাতেই ভাঙন হচ্ছে৷ দলে দলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা পদ্ম ছেড়ে ঘাস ফুল শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন৷ সদ্য নির্বাচিত বিধায়করাও বাদ যাচ্ছেন না৷ মকুল রায়, তন্ময় ঘোষ, বিশ্বজিৎ দাস ইতিমধ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আরও অনেক বিধায়ক পদ্ম ছেড়ে ঘাস ফুলে আসবেন৷ তাঁরা যোগাযোগ করছেন৷ যা নিয়ে চিন্তায় গেরুয়া শিবির৷ তারা ভাঙন আটকাতে ‘দল ত্যাগ বিরোধী’ প্রণয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি করছে৷