দলীয় কর্মীদের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য এখনই ভয় কাটিয়ে পুরোদমে মাঠে নামার পরামর্শ দিলেন সিপিএম নেতারা। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে ভাদুতলায় সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের ব্লক সম্মেলনে দলের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেন, এখন আর তৃণমূলকে ভয় পেলে চলবে না। বামেদের রাস্তায় দেখে ওরাই বরং ভয় পেয়েছে। কর্মীদের এখন থেকেই মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে।
পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কেমন করে দলকে সংগঠিত করতে হবে, তার রূপরেখা ঠিক করে দেন সিপিএম নেতারা এই সম্মলন থেকে। ভিড় হয়েছিল বেশ ভালোই। উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য নেতা রবীন দেব এবং জেলার অন্য নেতারা।
সম্মেলন শেষে সুশান্ত ঘোষ বলেন, পুলিশের সঙ্গে শাসকদলের নেতাদের এখন দারুণ বন্ধুত্ব। যার জন্য তৃণমূল নেতার জন্মদিনের পার্টিতে পুলিশ অফিসারদের দেখা যায়। এই পুলিশ যদি শাসকদলের পাশ থেকে সরে যায়, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল দলটা শেষ হয়ে যাবে, পতাকা ধরার একটা লোকও পাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন:High Court: লালবাতি, নীলবাতি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের, সোমবার ফের শুনানি
সুশান্ত বলেন, তৃণমূল সমাজবিরোধীদের দল। এই কারণেই রোজ কোথাও না কোথাও নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। রোজ বোমা-গুলির লড়াইয়ে কেউ না কেউ উড়ে যাচ্ছে। আর দোষ দিচ্ছে সিপিএমকে। ওদের নেত্রীই তো বলেছিলেন, সিপিএম শেষ, অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও এদের দেখা যায় না। অথচ এখন রোজ উঠতে বসতে আমাদের গালিগালাজ করা হচ্ছে। সিপিএম নেতার দাবি, দলকে সংগঠিত করার কাজ চলছে জোরকদমে। রবীন দেব বলেন, তৃণমূলের ১১ বছরের রাজত্বে দুর্নীতি আর দুবৃত্তায়নের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রোজ মিথ্যের ফুলঝুরি ছোটাচ্ছেন।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে এক সময়কার সিপিএমের দুর্গ কেশপুরকে লাল পতাকায় মুড়ে মহামিছিল করেছিল তারা। এবার অতীতে মাওবাদী অধ্যুষিত শালবনি, ভাদুতলায় বসে যাওয়া কর্মীদের মাঠে নামানোর কাজ শুরু করল সিপিএম।