কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের চুলচেরা বিশ্লেষণে মঙ্গলবার থেকে শুরু হল সিপিএম রাজ্য কমিটি বৈঠক (CPM Meeting)। আজ থেকে দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক চলবে। বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা ভিত্তিক ফলাফলের তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরবেন জেলা নেতৃত্ব। গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২.৫৭ শতাংশ, পঞ্চায়েত সমিতিতে ১৪.০২ শতাংশ এবং জেলা পরিষদে প্রায় ১২ শতাংশ ভোট পেয়েছে সিপিএম। একুশের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections) বিজেপিতে চলে যাওয়া ভোট কতটা নিজের ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারল দলের নেতারা তা নিয়ে হিসেব কষে দেখবে আলিমুদ্দিন। কোথায় সাফল্য পেল দল আর কোথায় ব্যর্থতা তা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে হিসেব দেবে জেলা নেতৃত্ব। অন্যদিকে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগের নিজেদের পারফরর্মেন্স যাচাই করে দেখবে সিপিএমের রাজ্য কমিটি।
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিতে চলে যাওয়া ভোট। পঞ্চায়েত নির্বাচনে চলে যাওয়া ভোটের কিছুটা হলে ঘরওপাসি হয়েছে। তার কৃতিত্ব ক্ষানিকটা দলের নবীন প্রজন্মেরও। দলের রণকৌশলের পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের পরিশ্রমের কৃতিত্ব দিচ্ছে আলিমুদ্দিন। সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক সদস্যের কথায়, ভোটের আগে থেকে দলের রাজ্য সম্পাদক রাজ্যের জেলায় জেলায় ঘুরে পরিস্থিতি খতিতে দেখেছেন। সেই মতোই ভোটের কর্মীদের কাজে নামানো হয়েছিল। ভোটের আগে থেকেই দলের কর্মী সমর্থকেরা যে ভাবে কাজ করেছে তার ফলপ্রসূত ভোট বেড়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের সংখ্যায় বাড়ায় খুশি রাজ্য নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam | ব্রাত্য বসু-র দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হাইকোর্টের
অন্যদিকে দেশ বাঁচাতে বিজেপির মোকাবিলা জরুরি। জাতীয় স্তরে ২৬ দলের বোঝাপড়ার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে ‘ইন্ডিয়া'(ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ এলায়েন্স)। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিজেপিকে ঠেকাতেই জাতীয় স্তরে অন্যান্য দলের পাশাপাশি তৃণমূলের সঙ্গে থাকবে সিপিএম। কিন্তু রাজ্যে নিজেদের বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী অবস্থান অনড় থাকছে। দলের নিচু তলায় দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করবে সিপিএম।