রাজারহাট: সালিসি সভায় পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে হয়রানির স্বীকার হলেন অভিযোগকারী। রাজারহাট কালিকাপুরের বাসিন্দা হাজী মোস্তফার অভিযোগ, তাঁর ভাইয়ের সাথে একটি জমি সংক্রান্ত বিবাদের মীমাংসার জন্য শুক্রবার পাথরঘাটা পঞ্চায়েত অফিসে আসতে বলা হয় তাঁকে। ২৭ ফেব্রুয়ারী চিঠি পাঠানো হয়েছিল তাঁদের দুই ভাইকেই। সেই চিঠিতেই সাড়া দিয়ে শুক্রবার উভয়পক্ষ হাজিরও হয়েছিলেন পাথরঘাটা পঞ্চায়েত অফিসে (Patharghata Gram Panchayat)।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১৪)
শুক্রবার বিকেলে পাথরঘাটা পঞ্চায়েতের দু’তলায় উপপ্রধানের বন্ধ ঘরে শুরু হয় সালিসি সভা। উপপ্রধান টুটুন গাজী ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পিংকি মণ্ডলের স্বামী তথা পাথরঘাটা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শশাঙ্ক মণ্ডল সহ আরও কয়েকজন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। হাজী মোস্তফার দাবি, মীমাংসা চলাকালীন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছিল জমিটি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কোর্টে মামলা চলছে। এই কথা শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সেখানে উপস্থিত পঞ্চায়েত উপ-প্রধান ও অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বরা। এরমধ্যে মেজাজ হারান পাথরঘাটা পঞ্চায়েতের উপ প্রধান টুটুন গাজী। অভিযোগ তিনি হাজি মোস্তফাকে বন্ধ ঘরের ভেতরেই মারধর করেন। এরপর হাজী মোস্তফা অভিযোগ জানাতে টেকনোসিটি থানায় গেলে সেখানে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখার পর তাঁকে জানানো হয় তাঁর বাড়ি রাজারহাট থানার অন্তর্গত সেই কারণে তাঁকে রাজারহাট থানায় যেতে হবে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন, পাঁচটি মেগা জনসভা অভিষেকের
রাজারহাট থানায় গেলে তাঁকে জানানো হয় থানার বড়বাবু থানাতে নেই তাই সেই মুহূর্তে তাঁর অভিযোগ নেওয়া সম্ভব নয়। রাজারহাট থানাতেও দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখার পর তাঁকে জানানো হয় টেকনোসিটি থানায় যেতে হবে। তারপর সন্ধ্যায় যখন তিনি আবার টেকনোসিটি থানায় পৌঁছন তখন থানার সামনে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের থেকে শুরু করে তৃণমূল কর্মীরা প্রায় তিন থেকে চারশো জন জড়ো হয়ে যায় বলে দাবি করেন মোস্তফা। তাঁর অভিযোগ তাঁকে ভয় দেখানো হয়। আতঙ্কিত হয়ে থানা থেকে চলে যেতে বাধ্য হন হাজী মোস্তফা। পুরো ঘটনা সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলতে চাননি উপপ্রধান টুটুন গাজী।
আরও খবর দেখুন