কলকাতা: রবিবারের জনগর্জন সভা ঐতিহাসিক চেহারা নেবে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, বহিরাগত জমিদাররা যেন বাংলার সহনশীলতা এবং সৌজন্যকে দুর্বলতা না ভাবে। ১০ মার্চের ব্রিগেড সভা সেই বার্তাই দিতে চায়। সেই সভা হবে ঐতিহাসিক। বাংলা যে তার অধিকার রক্ষার লড়াই করতে জানে, সেটা আবারও বুঝিয়ে দেওয়া হবে ওইদিন। মুখ্যমন্ত্রী রবিবারেরল ব্রিগেড সমাবেশ সফল করার জন্য দলমতনির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ওই পোস্টে মুখ্যমন্ত্রীর একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যও তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলার সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার একটা চক্রান্ত চলছে। তিনি বলেন, বাংলার একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলার রাস্তার টাকা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। চারদিক থেকে বাংলাকে লাঞ্ছনা করা হচ্ছে। বাংলায় একটা বিকৃত সংস্কৃতির জন্ম দেওয়া হচ্ছে। আমরা সবাইকে ভালোবাসি। বাংলা সকলকে কোলে তুলে নিতে জানে। সেই বাংলাকে অপমান করা হচ্ছে। বাংলার একটা নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। তাকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে। তাই ব্রিগেডে আসুন সবাই। গর্জন তুলুন। আমরা লড়ব, জিতব। যে যেখানে আছেন, সকলকে বলছি, ১৯ মার্চ ব্রিগেডে আসুন।
আরও পড়ুন: মনোজ টিগ্গাকে তোলাবাজ বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা
এক সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিনবার বঙ্গ সফর সেরে ফেলেছেন। আরামবাগ, কৃষ্ণনগর এবং বারাসতের তিন সভাতেই মোদির নিশানা ছিল তৃণমূল এবং সন্দেশখালি। তৃণমূল সূত্রের খবর, রবিবারের ব্রিগেড সভা থেকে মমতা চড়া সুরেই আক্রমণ শানাবেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তবে তিনদিনের সভায় মোদি মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ধরে কিছু বলেননি। মমতাও ইদানিং সভা-সমাবেশে মোদি বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম উল্লেখ করেন না। তিনিও ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন না। ব্রিগেডের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মোদি, শাহের নাম নেবেন কি না, তা নিয়ে কৌতূহল থাকছে রাজনৈতিক মহলের।
একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করার প্রতিবাদেই মূলত রবিবারের ব্রিগেড সভা ডাকা হয়েছে। তবে লোকসভা ভোট যেহেতু দরজায় কড়া নাড়ছে, তাই ব্রিগেড থেকেই মমতা ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করে দিতে চলেছেন। ইতিমধ্যেই মমতার ঘোষণামতো রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে একশো দিনের কাজের টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে। সোমবার এবং মঙ্গলবার তমলুকের প্রশাসনিক সভায় তিনি জানান, ১ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। তারপর আবাস যোজনার টাকাও রাজ্য সরকার দেবে। তৃণমূল কারও দয়া চায় না। তৃণমূল ভিখারি নয়।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: