কলকাতা: দিন সাতেক আগেই সম্ভাবনাটা বোঝা গিয়েছিল। রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ সংস্থার সিএমডি এবং দুই জেনারেল ম্যানেজারের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই নির্দেশ দিয়ে বলেন, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে জানাতে হবে কেন আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মীদের ২০১৯ পর্যন্ত প্রথম ডিএ-র ইনস্টলমেন্ট দেওয়া হলেও ২০২০ সালের পর থেকে ডিএ দেওয়া হয়নি কেন?
আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত বেতন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি রাজা শেখর মন্থা। এর মধ্যে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী টাকা দেওয়া হলে বেতৱ বন্ধের নির্দেশ প্রত্যাহার করা হবে। অভিযোগ, ২০১৯ এবং ২০২০ সালের বকেয়া ডিএ-র এক পঞ্চাংশ কর্মীদের দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না দিয়ে শুধু ২০১৯ সালের বকেয়ার এক পঞ্চমাংশ দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের নতুন রোপা রুল অনুযায়ী বকেয়া ডিএ হিসাব করে তার এক পঞ্চমাংশ কেন দেওয়া হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। বিচাপতির মন্তব্য, বাদাম খাওয়ার টাকা দিয়েছেন নাকি? যতদিন নির্দেশ না মানা হচ্ছে আধিকারিকদের বেতন বন্ধ থাকবে। হিসাব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, দুই বছরের বকেয়ার এক পঞ্চমাংশ মামলাকারীর পাওয়ার কথা ছিল। যা ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তার বদলে তিনি পেয়েছেন মাত্র ১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা।
২৩ জুনের মধ্যে রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ সংস্থার প্রায় ২০ হাজার কর্মীর বকেয়া ডিএ-র পাঁচ ভাগের এক ভাগ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। গত শুক্রবার আদালত অবমাননার মামলায় এই নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
সে দিনই আদালত বলেছিল, যদি নির্দেশ কার্যকর না হয়, তাহলে দুই সংস্থার এমডি এবং দুই সিএমডির বেতন বন্ধের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে। দুই বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে প্রথম নির্দেশ দেয় বিচারপতি মান্থার বেঞ্চ। সেই রায় দুটি সংস্থাই চ্যালেঞ্জ করে। ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে। তারপর দুই সংস্থা সুপ্রিম কোর্টেও দু’বার আবেদন করে। শীর্ষ আদালতও একক বেঞ্চের রায়কেই বহাল রাখে।
আরও পডুন: PF Seminar: প্রভিডেন্ট ফান্ড কারও দয়ার দান নয় : দোলা সেন