কোচবিহার: আগামিকাল, বৃহস্পতিবার কোচবিহার (Coochbehar) তেতে থাকবে রাজনীতির উত্তাপে। দুই ভিভিআইপি নেতা-নেত্রীর নির্বাচনী সভা রয়েছে। কোচবিহারের রাসমেলার মাঠে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জনসভা। সেখান থেকে কয়েক কিমি দূরে মাথাভাঙার গুমানির হাট। দুই শিবিরেই বুধবার ছিল চূড়ান্ত ব্যস্ততা। বিজেপি এবং তৃণমূল, দুই দলই দুই সভায় রেকর্ড ভিড় করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। দুই শিবির সূত্রের খবর, জেলার বিভিন্ন এলাকায় রীতিমতো হুইপ জারি করা হয়েছে লোক আনার জন্য। এসপিজির কর্তারা বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সভামঞ্চ পরিদর্শন করেন। জেলা পুলিশের কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল ঘুরে দেখেন। দুই সভা ঘিরে জেলা নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে।
তৃণমূল নেতৃত্ব বুধবার দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর সভায় লোক হবে না। তাই অসম থেকে লোক নিয়ে আসা হবে। দলের জেলা সভাপতি অভিজিত দে ভৌমিক বলেন, আমরা একটা বিধানসভা এলাকা থেকে লোক এনে মাঠ ভরিয়ে দেব। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। সেটা বুঝতে পেরেই তৃণমূল এসব কথা বলছে।
মুখ্যমন্ত্রী এখন রয়েছেন উত্তরবঙ্গেই। চালসার একটি বেসরকারি হোটেলে তিনি তিনদিন ধরে থাকছেন। রবিবার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে তুমুল ঝড়ের খবর পেয়ে রাতেই ধুবুলিয়া থেকে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যান জলপাইগুড়িতে। ঝড়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। হাসপাতালে গিয়ে জখমদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হিন্দু মহাসভা প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সংগঠনের সভাপতির!
বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী চালসার হোটেল থেকে বাইরে বেরিয়েছিলেন। গাড়ি থেকে নেমেই একটি চায়ের দোকানে যান তিনি। সকলের জন্য চা করতে বলেন দোকানিকে। পরে তিনি নিজেই চা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলকে সেই চা খাওয়ালেন। পরে জলপাইগুড়ির এক চা বাগানেও চলে গেলেন তিনি। সেখানে মহিলা, পুরুষদের সঙ্গে চায়ের পাতা তুললেন। শ্রমিকদের নানা সমস্যার কথা শুনলেন। তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী বললেন, এখন নির্বাচনী আচরণবিধি চালু আছে। এখন কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া যাবে না। চালসার এক গ্রামে গিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন।
আরও খবর দেখুন